বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, তার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যে নির্দোষ ছিলেন সেটা সাধারণ জনগণই প্রমাণ করে দিয়েছে। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাঙ্গুনিয়ার মানুষ সর্বত্র একই প্রশ্ন করছে– সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মিথ্যা মামলার বিচার কবে হবে? জনগণের এ সমর্থন ও ভালোবাসা দেখেই বোঝা যাচ্ছে বিচার হয়ে গেছে এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নির্দোষ। মানুষের এ ভালোবাসার জন্যই আমি এবং আমার পরিবার ঘোষণা দিতে পারে– যতদিন বেঁচে আছি বাবা ও দাদার পথ ধরে ততদিন রাঙ্গুনিয়ার মানুষের গোলামি করে যাব।
গতকাল শনিবার সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রথম মাজার জিয়ারত এবং রাঙ্গুনিয়ার জনগণের সাথে দেখা করতে এসে রোয়াজারহাটে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। হুম্মাম কাদের আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের আর কোনো অস্তিত্ব নেই, যারা ছিল তারা শেখ হাসিনার সাথে পালিয়ে গেছে। বাকিরা শুধু জিয়ার সৈনিক। তাই এখানে বিএনপিকে আর ভোট চাইতে হবে না, ভোট ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচার সবার জানা, কিন্তু এখন ধৈর্য্য ধরতে হবে। বাকি যারা আওয়ামী লীগ আছে তারা রূপ পরিবর্তন করবে। তাদের চাঁদাবাজি, জমি দখল, হয়রানির দিন শেষ। তবে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের পুলিশে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। জিয়াউর রহমানের দলে চাঁদাবাজ, লুটেরা, জমি দখলকারীর কোনো স্থান নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যতদিন বেঁচে আছেন শুধু বিএনপির নয়, রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের সেবা করবেন। সব ধর্মের মানুষ তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব তার।
এর আগে হুম্মাম কাদের চৌধুরী মরহুম পিতার সংসদীয় আসন রাঙ্গুনিয়ায় পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। উপজেলার প্রতিটি মোড়ে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বহু নবীন–প্রবীণ এসেছিলেন মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরী ও বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এই উত্তরসূরীকে দেখতে।
হুম্মাম কাদের এদিন সকালের দিকে রাউজান থেকে রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাট দিয়ে প্রবেশ করতেই তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী। এরপর তিনি ইসলামপুরের গাবতল হয়ে ধামাইরহাট, শান্তিনিকেতন, মরিয়মনগর চৌমুহনী, লিচুবাগান, রোয়াজারহাট, ইছাখালী, গোচরা, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়াসহ বিভিন্ন বাজার প্রদক্ষিণ করেন এবং এসব স্পটে বক্তব্য দেন। পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জেয়ারত করেন।
বক্তব্য প্রদানকালে হুম্মাম কাদের চৌধুরী আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়ার রাজনীতি আমার দাদা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সঙ্গে জড়িত। আমার বাবা আপনাদের কাছে বলে গিয়েছিল, তাঁর যদি কিছু হয়ে যায় তবে তাকে যেন রাঙ্গুনিয়ায় দাফন করা হয়। এই স্বৈরাচারী সরকার আমার বাবার সেই ইচ্ছাও পূরণ করতে দিল না। তবে আমার বাবাকে যেখানেই দাফন করি না কেন, তাঁর মন শরীর আত্মা সবকিছুই রাঙ্গুনিয়ায় মিশে আছে।