নগরীর জামালখানে ধর্ষণের পর খুনের শিকার শিশু বর্ষার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কেন দাখিল করা হচ্ছে না, তা ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী ফরেনসিক চিকিৎসকের কাছে জেনে জানানোর জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। বর্ষার আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী ফরেনসিক চিকিৎসককে শোকজ করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কেন দাখিল করছে না তা ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী ফরেনসিক চিকিৎসকের কাছে জেনে জানানোর জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আইনজীবী বলেন, বর্ষা খুনের তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখনো পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি। মূলত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর নগরীর জামালখানের বাসা থেকে চিপস্ কিনতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাত বছর বয়সী শিশু মারজানা হক বর্ষা। তিনদিন পর বাসার পাশের শিকদার হোটেলের পেছনের নালা থেকে বর্ষার বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় লক্ষ্মণ দাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে পাঠানো হলে লক্ষ্মণ দাশ ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এতে তিনি বলেন, শিশু বর্ষাকে তিনি ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন।