দিয়েগো মারাডোনার মৃত্যুর কারণ তদন্ত শেষে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইএসপিএনের গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সান ইসিদ্রোর প্রসিকিউটরস অফিস বিচারকের কাছে ওই অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে গত ২৫ নভেম্বর মারা যান ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন মারাদোনা। মাদকাসক্তি, অ্যালকোহোলের প্রতি আসক্তি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা জটিলতায় দীর্ঘদিন ভোগা ১৯৮৬ বিশ্বকাপের এই মহানায়ক মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকদিন ছিলেন হাসপাতালে। তখন তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন আর্জেন্টাইনদের ‘ফুটবল ঈশ্বর।’ তবে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে ওঠার মাঝে হঠাৎ করেই আসে তার মৃত্যুর খবর।
পরদিনই মারাদোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরিয়া কিংবদন্তির মৃত্যুর পূর্ণ তদন্তের দাবি জানান। এরপর গত মার্চে সান ইসিদ্রোর এই প্রসিকিউটরস অফিস তদন্ত শুরু করে। ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেলের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুর আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে দেওয়া চিকিৎসা ত্রুটিপূর্ণ ও যত্নহীন ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের আট থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ৩৯ বছর বয়সী লিওপোলদো লুক ও তার সাইকিয়াট্রিস্ট অগাস্তিনা কোসাচভ। অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা। চিকিৎসক ও মারাদোনার সহকারীদের মধ্যে কথাবার্তার একটি অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। তাতেও মৃত্যুর আগে মারাদোনার উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। মারাদোনার পরিবার আগে থেকেই বিচার দাবি করে আসছে এবং তারা চিকিৎসক লুককে দায়ী বলে মনে করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও আছেন-দুজন নার্স, একজন নার্স কোঅর্ডিনেটর, আরেক জন চিকিৎসক ও একজন সাইকোলজিস্ট। মারাদোনার ময়নাতদন্তে জানা যায়, ঘুমের মধ্যে হার্টফেল করে মারা গেছেন তিনি। টঙিকোলজির রিপোর্টে অ্যালকোহল বা অবৈধ কোনো কিছুর অস্তিত্ব মেলেনি। তবে মানসিক অবসাদ দূরীকরণের ওষুধের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে আগামী ৩১ মে।