ম্যাচ-সেরা হয়েও খুশি নন শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সঞ্চালক রমিজ রাজা একটু চমকেই গেলেন বুঝি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উত্তর শুনে। ম্যান অব দা ম্যাচ হওয়া ক্রিকেটারকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সঞ্চালক জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার ইনিংসটা তো দলকে গেঁথে রেখেছিল, কতটা সন্তুষ্ট?’ বাংলাদেশ অধিনায়কের ত্বরিত জবাব, সত্যি বলতে, ‘আমি খুশি নই।’ খুশি না হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ইনিংসের শুরুটা তার মনমতো হলেও শেষটা প্রত্যাশামতো করতে পারেননি।

শারজাহতে শনিবার শান্তর ইনিংসটি গড়ে দেয় বাংলাদেশের জয়ের ভিত। ১১৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস এমনিতে খুব আদর্শ কিছু নয়। তবে এই মাঠের উইকেটের যা চরিত্র, সেখানে এই ইনিংসই ছিল কার্যকর। আগে ব্যাট করে ২৩০২৪০ রানই যে এখানে জয়ের মতো স্কোর। আগের ম্যাচে তিনি ৪৭ করে আউট হয়ে যাওয়ার পরই ধস নেমেছিল দলের ইনিংসে। ম্যাচের পর এজন্য নিজেকে দায় দিয়েছিলেন তিনি। এবার এই ম্যাচে দেখালেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। প্রথম ৩৫ বলে তার রান ছিল ৩০। দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়ে সৌম্য সরকার আউট হয়ে যাওয়ার পর অধিনায়ক মনোযোগী হন লম্বা সময় ক্রিজে টিকে থাকায়। এখানেই তার অতৃপ্তি। লম্বা ইনিংস খেললেও তার ভাবনা ছিল আরেকটু লম্বা করার। ৪০ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি। এরপর ছক্কা মারার চেষ্টায় উইকেট হারান। শেষ পর্যন্ত দল জিতেছে। তবে ম্যাচসেরা হয়েও অতৃপ্তির কথা বললেন শান্ত। ‘সত্যি বলতে, আমি খুশি নই। আমার আরেকটু লম্বা সময় ব্যাট করা দরকার ছিল। কারণ, উইকেট বেশ কঠিন ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য, বিশেষ করে স্পিনের বিপক্ষে। আমার তাই আরও সময় ক্রিজে টিকে থাকা দরকার ছিল। তবে যেভাবে ইনিংসের শুরু করেছিলাম, তাতে খুশি ছিলাম।’ শান্তর একটু আগে আউট হন তাওহিদ হৃদয়, শান্তর পরপরই বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। ১০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদ পড়ে যায় দল। তবে এক বছর পর ফেরা নাসুম আহমেদ ও অভিষিক্ত জাকের আলি ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত স্কোরের দিকে নিয়ে যান। শারজাহর উইকেটের যে আচরণ ও ধারা, রাতের বেলায় ২৫৩ রান তাড়া করা ভীষণ কঠিন। নাসুম বোলিংয়েও জ্বলে ওঠেন তিন উইকেট নিয়ে। সঙ্গে অন্য বোলারদের সংযোগে বাংলাদেশ ৬৮ রানে জিতে সমতায় ফেরায় সিরিজে। নিজের ব্যাটিং নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও দলের সার্বিক পারফরম্যান্স খুশি করেছে অধিনায়ককে। ‘মিরাজ ও নাসুম যেভাবে বল করেছে, ওদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। বোলিংয়ে আমরা যেভাবে শুরু করেছি, নতুন বলে তাসকিন আবারও গুরবাজকে আউট করেছে, সে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান (আফগানিস্তানের জন্য)। সব মিলিয়ে গোটা দলের ব্যাটিং আর বোলিং গ্রুপ ভালো করেছে। ফিল্ডিংয়ে আমি দলে প্রচুর প্রাণশক্তি দেখতে চাই। আজকে সবাই তা করতে পেরেছে। এটা নিয়ে আমি খুবই খুশি।’ ফিল্ডিংয়ের সময় শান্ত নিজে অবশ্য চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচের পর তিনি জানালেন, এখন ভালো অনুভব করছেন কিছুটা, তবে ‘কিছুটা’ রয়ে গেছে তখনও। আজ সোমবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে ছুটি চেয়েছেন মোস্তাফিজ
পরবর্তী নিবন্ধওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য টেস্ট দল ঘোষণা দলে ফিরেছেন শরিফুল