ম্যাক্সিম গোর্কি : কালজয়ী ঔপন্যাসিক

| বুধবার , ১৮ জুন, ২০২৫ at ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

আলেক্সেই ম্যাক্সিমোভিচ পেশকভ বা মাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮১৯৩৬)। রুশ, সোভিয়েত লেখক, সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদী সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন রাজনৈতিক কর্মী। তিনি নিজেই তার সাহিত্যিক ছদ্মনাম হিসেবে গোর্কিনামকে বেছে নেন। তার অনেক বিখ্যাত রচনার মধ্যে মাএকটি কালজয়ী উপন্যাস। তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য পাঁচবারের মনোনীত হয়েছিলেন। ম্যাক্সিম গোর্কি ১৮৬৮ সালের ২৮ শে মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। গোর্কির বাবার নাম ছিলো মাক্সিম পেশকভ ও মায়ের নাম ভারিয়া। পিতৃদত্ত নাম মুছে গোর্কি নামেই উত্তরকালে জগৎবিখ্যাত হন। তিনি ৯ বছর বয়সে পিতৃমাতৃহীন হন। তারপরে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হলেন। ১৮৮০ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার দাদীমাকে খুঁজতে গৃহত্যাগ করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এবং দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পায়ে হেঁটে সমগ্র রাশিয়া ভ্রমণ করেন। ১৮৮২ সালে সাহিত্য রচনা শুরু করেন। তিনি জেহুদিয়েল কামিদা ছদ্মনামে লিখেছিলেন। ম্যাক্সিম গোর্কীর সর্বপ্রথম রচনা গল্প ‘মাকার চুদ্রা’। সেটি প্রকাশিত হয় তিবিলিসির সংবাদপত্র কাভকাজে। সাংবাদিক হিসাবে প্রাদেশিক সংবাদপত্রে কাজ করছিলেন। স্কুলের গণ্ডি পার করতে না পারলেও কোনো এক অজ্ঞেয় কারণে বইয়ের প্রতি তার আসক্তি তৈরি হয় এবং তিনি নিজে নিজেই লেখাপড়া করতে থাকেন। সম্পূর্ণই স্বশিক্ষিত এক মানুষ বলা যায় গোর্কিকে। প্রথাগত রচনার বাইরে গোর্কি তার লেখায় প্রাধান্য দেন সমাজের নিচুশ্রেণির খেঁটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জীবনের গল্পকে। ১৮৯৮ সালে তার লেখা প্রবন্ধ ও গল্প নিয়ে একটি সংকলন রেখাচিত্র ও কাহিনী প্রকাশিত হয়। ১৯০০ সালে প্রকাশিত হয় তার সার্থক উপন্যাস ফোমা গর্দিয়েভ। ১৯০০ থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত গোর্কির লেখা আরও আশাবাদী হয়ে ওঠে। ১৯০১ সালে বিপ্লবী ছাত্রদের হত্যার করার জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে গোর্কি রচনা করলেন ঝোড়ো পাখির গান নামের কবিতা। ১৯০৭ সালে তিনি রচনা করেন তার বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস মা। ১৯৩৬ সালের ১৮ই জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধপরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ করা হোক