মোস্তাফিজের ১ উইকেট

| বৃহস্পতিবার , ২১ এপ্রিল, ২০২২ at ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

চলতি আইপিএলে নিজের প্রথম চার ম্যাচেই মোস্তাফিজুর রহমান শুরু করেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং। এবার হলো ব্যতিক্রম। তবে বাঁহাতি পেসার তিন ম্যাচের খরা কাটিয়ে উইকেটের দেখা যদিও পেলেন। তবে বোলিং ফিগার হয়ে গেল কিছুটা বিবর্ণ। মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে বুধবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট পান মোস্তাফিজ।

১৪টি ডট বল খেলালেও চারটি চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা হজম করেন একটি। দিল্লি লক্ষ্যটা পেয়েছে অবশ্য ছোটই। পাঞ্জাব শেষ বলে অল আউট হয়েছে ১১৫ রানে। আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে নিজের শেষ ওভারে ২৮ রানসহ মোট ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের পেসার পাঞ্জাবের বিপক্ষে প্রথম বল হাতে পান ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। প্রথম দুই বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, দ্বিতীয়টিতে মায়াঙ্ক আগারওয়াল নেন ডাবল। পরের বলেই বোল্ড পাঞ্জাব অধিনায়ক। ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি থার্ড ম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

ব্যাটে লেগে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প। শেষ দুই বলে বাউন্ডারি মারেন জনি বেয়ারস্টো। ওভারে ১১ রান দিয়ে মোস্তাফিজের প্রাপ্তি মায়াঙ্কের উইকেটটি। নবম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম চার বলে তিনি দেন স্রেফ ২ রান। পঞ্চম বল অফ স্টাম্পের করে দিয়ে হজম করেন বাউন্ডারি, ব্যাটসম্যান জিতেশ শর্মা। পরের বল ‘ডট।’ ওভার থেকে আসে ৬ রান। ১৭তম ওভারে আবার যখন বোলিং পান মোস্তাফিজ, ৯৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পাঞ্জাব। প্রথম তিন বলে তিনি বেঁধে রাখেন রাহুল চাহারকে। চতুর্থ বল ছিল শর্ট, ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন চাহার।

পরের দুই বলে একটি সিঙ্গেলসহ ওভার থেকে আসে ৭ রান। কোটার শেষ ওভারটি করেন তিনি ইনিংসের শেষ ওভারে। প্রথম বলে কিপার রিশাভ পান্তের দৃঢ়তায় বাউন্ডারি হজম করা থেকে বেঁচে যান মোস্তাফিজ। পরের বল ফুলটস পেয়ে চার মারেন আর্শদিপ সিং। বাকি চার বলে অবশ্য ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি আর্শদিপ। শেষ বলে তিনি হয়ে যান রান আউট। মোস্তাফিজ আসরে দিল্লির হয়ে প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। পরের দুই ম্যাচে উইকেট না পেলেও বোলিং খারাপ করেননি, রান দেন যথাক্রমে ২৬ ও ২১। এরপর ব্যাঙ্গালুরের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের ওই বোলিং।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোটা অংকের পারিশ্রমিকের বিজ্ঞাপন ফেরালেন আল্লু অর্জুন
পরবর্তী নিবন্ধআবারও হাসপাতালে ভর্তি হলেন পেলে