রাজস্থান রয়্যালসের মোস্তাফিজুর রহমান আর ক্রিস মরিসের পেস বোলিং জুটি বেশ জমে উঠেছে। এই দুই বিদেশিকে খেলতে গিয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। আরও একবার মোস্তাফিজ আর মরিসের বোলিং ঝলক দেখা গেল। তাতেই দিল্লিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে রাজস্থান। সপ্তম ম্যাচে তৃতীয় জয়ে সাত থেকে এক লাফে পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে সঞ্জু স্যামসনের দল। ২২১ রানের বড় লক্ষ্য। উড়ন্ত সূচনাই করেছিল হায়দরাবাদ। মনিশ পান্ডে আর জনি বেয়ারস্টো ৬ ওভারে পাওয়ার প্লেতে তোলেন ৫৭ রান। ভয়ংকর হয়ে উঠছিল এই জুটি। এমন সময়েই ঝলক দেখান মোস্তাফিজ। ২০ বলে ৩১ রানে পৌঁছে যাওয়া মারমুখী মনিশকে বোল্ড করে দেন কাটার মাস্টার। মোস্তাফিজের ওই ব্রেক থ্রুতেই ম্যাচে ফেরে রাজস্থান। এরপর একের পর এক উইকেট তুলে নিতে থাকে দলটি। পরের ওভারে আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোকে (২১ বলে ৩০) তুলে নেন রাহুল তেয়াতিয়া। বিজয় শঙ্কর (৮ বলে ৮), কেন উইলিয়ামসনও (২১ বলে ২০) সুবিধা করতে পারেননি। বড় বড় ছক্কা হাঁকিয়ে মোহাম্মদ নবি রানের চাপ সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। ১৫তম ওভারে এসে তাকে এক স্লোয়ারে ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ। তিনি করেন ১৭ রান। ম্যাচে তখনই সব আশা ভরসা শেষ হায়দরাবাদের। ১৮তম ওভারে এসে আরও এক উইকেট নেন মোস্তাফিজ, এবার তার শিকার রশিদ খান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৫ রানেই থামতে হয়েছে হায়দরাবাদকে। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। সমান ওভারে ৩ উইকেট নিতে ক্রিস মরিসের খরচ ২৯ রান।
এর আগে জস বাটলারের বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ২২০ রানের পাহাড় গড়ে রাজস্থান। মূলত ম্যাচের ভাগ্যটা গড়ে দিয়েছে বাটলারের ৬৪ বলে ১২৪ রানের ইনিংসটাই। টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোই যেন কাল হয়েছে হায়দরাবাদের। শুরুটা অবশ্য ওত ভালো ছিল না। জশস্বী জাসওয়াল ইনিংসের তৃতীয় ওভারে যখন ফেরেন, ১ উইকেটে তখন ১৭ রান রাজস্থানের। এরপরই তান্ডব চালানো শুরু করেন বাটলার। দ্বিতীয় উইকেটে সঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে ৮২ বলে ১৫০ রানের বিধ্বংসী এক জুটি গড়েন তিনি। স্যামসনও কম যাননি। ৩৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় রাজস্থান অধিনায়ক আউট হন ৪৮ রান করে। তবে থামেনি বাটলার তান্ডব। চার-ছক্কার মাঠ গরম করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের মাত্র ৬ বল বাকি থাকতে আউট হন রাজস্থানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। ৬৪ বলে ১২৪ রান করতে ১১টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষদিকে রায়ান পরাগ ৮ বলে ১৫ আর ডেভিড মিলার ৩ বলে ৭ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে ২২০ পর্যন্ত নিয়ে যান। সানরাইজার্স বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট নেন রশিদ খান, বিজয় শঙ্কর আর সন্দ্বীপ শর্মা।