নগরীর মোমিন রোড, পাহাড়তলী, খুলশীসহ বিভিন্ন এলাকার হোটেল, বেকারি ও বাজারে গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৯টি মামলায় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোমিন রোড এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক। তিনি সাফরান রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা, ব্লু ওশান রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা, মোগল দরবারকে ২ হাজার টাকা, হোটেল আলীকে ২ হাজার টাকা এবং একটা বেনামী হোটেলকে ১ হাজার টাকাসহ মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানের সময় প্রায় প্রত্যেকটা রেস্তোরাঁয় পচা বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা অবস্থায় পাওয়া গেছে। খাবারে ব্যবহারের জন্য রাখা বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ এবং বিষাক্ত রং রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করা হয় উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, পরিবেশন, সংরক্ষণ, নর্দমার পাশে রান্নাঘর স্থাপন, পোড়া তেল ব্যবহার এবং লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর বিভিন্ন ধারায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।
সরাইপাড়া ও পাহাড়তলী এলাকায় বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার আইনে বিভিন্ন বেকারিতে অভিযান পরিচালনা করেন বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম এন জামিউল হিকমা। তিনি ঢাকা বেকারি ওয়ানকে ২০ হাজার টাকা, মারিয়া ফুড প্রোডাক্ট ও ঢাকা বেকারিকে ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
লালখান বাজার এলাকায় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। মেয়াদোত্তীর্ণ ও লাইসেন্সবিহীন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে আদিয়াত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অন্য এক মুদি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
২ নম্বর গেট কর্ণফুলী বাজারের ওজন পরিমাণের মেশিনগুলোও চেক করা হয়। এ অভিযানে রহমান অ্যান্ড কোং নামে পেট্রোল পাম্পসহ কয়েকটি তেলের পাম্পে সঠিক পরিমাপে তেল বিক্রি হচ্ছে কিনা বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধির দ্বারা পরীক্ষা করে সতর্ক করা হয়। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।