চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীরা গত দুদিন ধরে মোবাইল ফোনেই পরিবারের সাথে আলাপ সারছেন। কারাভ্যন্তরে স্থাপিত ২৫টি টেলিফোন বুথ থেকে বন্দীরা পরিবারের সাথে কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান। কারাগার সূত্র জানায়, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সাথে বন্দীদের সরাসরি সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একই সাথে বুথ স্থাপন করে মোবাইল ফোনে আলাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের সাথেই স্থাপিত বুথ থেকে প্রয়োজনীয় আলাপ সারতে পারবেন তারা।
কারাগার সূত্র আরও জানায়, পরিবারের সাথে বন্দীদের আলাপে কারা কর্তৃপক্ষ সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে একজন বন্দী পরিবারের সাথে আলাপের জন্য ৮ মিনিট সময় পেতেন। এখন পাচ্ছেন ১০ মিনিট। এ ১০ মিনিটের মধ্যেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিতে পারবেন। এজন্য প্রতি মিনিটি বাবৎ গুনতে হবে ১ টাকা। ১০ মিনিটের জন্য গুনতে হবে ১০ টাকা। কারাগার সূত্র আরও জানায়, পরিবারের সাথে বন্দীদের মোবাইল ফোনে আলাপের এ ব্যবস্থা সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। আবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়।
সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কারাগার কর্তৃপক্ষও দেশের কারাগারগুলোর বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করে। এ নির্দেশনার আলোকেই পরিবারের সাথে বন্দীর সরাসরি সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ২৫টি বুথ স্থাপনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে প্রয়োজনীয় আলাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করার নির্দেশনা রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা চালু থাকবে। এদিকে ১ জন বন্দী সপ্তাহে কতদিন পরিবারের সাথে আলাপের সুযোগ পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র জেল সুপার বলেন, সপ্তাহে শুধুমাত্র ১ দিন পরিবারের সাথে বন্দীরা আলাপের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম কারাগারে বর্তমানে অবস্থান করছেন ৭ হাজারের (ধারণ ক্ষমতার তিনগুণ) বেশি বন্দী।