নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাটের খেজুরতলা এলাকায় ছিনতাই করে পালানোর সময় এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইকবাল হোসেন রুবেল। তিনি চান্দগাঁও থানাধীন খেজুর তলা এলাকার মো. ইসকান্দরের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন, ভোলা সদরের মৃত মো. বারেকের ছেলে মো. হাসান ও একই জেলার লালমোহন এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. রুহুল আমিন। গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চান্দগাঁও থানা পুলিশ জানায়, গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় ভিকটিম রুবেলের বোন রুমা আক্তার গ্রেপ্তারকৃত দুজনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার ভোরে চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট খেজুরতলা সাফা মোতালেব কলেজ গেইটের ভিতরে
ফাঁকা জায়গায় আসামিরা তার বড় ভাই মো. ইকবাল হোসেন রুবেলকে মারধর করে হত্যা করেছেন। থানা পুলিশ জানায়, রুমা আক্তারের দায়ের করা মামলার এজহারনামীয় আসামিরা হলেন– মো. হাসান, মো. জাবেদ প্রকাশ ভাগিনা জাবেদ, মো. রুবেল, বাবলু, আল আমিন, মো. শরিফ, মো. তামিম, মো. জিকু, মো. হাসান, মো. জসিম, হাসান ও মো. রুহুল আমিন।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, একজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন মো. ইকবাল হোসেন রুবেল। এসময় লোকজনের কাছে তিনি ধরা পড়ে যান। একপর্যায়ে লোকজন তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
ওসি বলেন, ছিনতাই করা অবশ্যই অপরাধ। কিন্তু তাকে আইনের কাছে সোপর্দ না করে গণপিটুনি দেওয়া, অতঃপর হত্যা করা, এসব কাজ কোনোভাবেই আইন সমর্থন করে না। এটি একটি অপরাধ। আমরা অবশ্যই অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।