ঋণের টাকায় মোবাইল কিনে কিস্তি পরিশোধ না করায় ছেলেকে বকাঝকা করেছিলেন মা, এ কারণে মায়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দইল্যে টিলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৭ নম্বর ঘরে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বসতঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় সঞ্জয় মহাজন প্রকাশ গৌবিন্দ নামে ২০ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতের কোনো এক সময় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
আত্মহননকারী গৌবিন্দ ওই আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী তপন মহাজনের ছেলে ও গ্যারেজ কর্মী। পুলিশ জানায়, ঋণের টাকায় মোবাইল কিনে কিস্তি পরিশোধ না করায় গৌবিন্দকে বকাঝকা করেছিল তার মা।
এ কারণে মা ও বোনের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে গৌবিন্দ। গত বুধবার রাতের কোনো এক সময় আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
জানা যায়, তারা গণিপাড়া এলাকার বাসিন্দা, ভূমি ও গৃহহীন হওয়ায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারাধন মহাজনকে একটি ঘর বরাদ্দ দেন। ওই ঘরে থাকতেন তপন মহাজনের পরিবার। ঋণের টাকায় মোবাইল কিনে কিস্তি পরিশোধ না করায় ছেলেকে বকাঝকা করায় আত্মহত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কাদের।
৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামসুল আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে থানায় খবর দিই, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। আত্মহননকারীর স্বজন রতন মহাজন ও পুষ্পিতা মজুমদার বলেন, কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এখনো বলতে পারছিনা।