মস্কোর তেল কেনা বন্ধ করতে নয়াদিল্লির ওপর প্রবল মার্কিন চাপের প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নয়াদিল্লি সফরে গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য সম্পর্ক কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে তাদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের।
নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পুতিনকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়ার পর মোদির সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক শুরু হয়। নয়া দিল্লি থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এই সফরে বড় ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি, যৌথ উৎপাদন উদ্যোগ, জ্বালানি ক্রয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সমপ্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এটি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পুতিনের প্রথম ভারত সফর। আলোচনার শুরুতে মোদির পাশে বসে পুতিন বলেন, আজকের দিনটির আলোচনা ফলপ্রসূ হবে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, বিমান ও মহাকাশ গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’ দুই নেতা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে মোদি পুতিনকে উষ্ণ আলিঙ্গনে স্বাগত জানান। এরপর তারা দুজন একই গাড়িতে করে একান্ত নৈশভোজে যোগ দেন। এর আগে সেপ্টেম্বরে চীনে তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়েছিল। মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্ব দীর্ঘকালীন এবং আমাদের জনগণের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।’
ভারতের রাশিয়ার তেল ক্রয় চালিয়ে যাওয়াকে দায়ী করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগস্টে ভারতের অধিকাংশ পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। ওয়াশিংটন মনে করে, রাশিয়ার এই তেল রাজস্ব ইউক্রেন যুদ্ধকে অর্থায়ন করছে। শীর্ষ বৈঠকে পুতিন বলেন, তিনি মোদির সঙ্গে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য শান্তিপূর্ণ সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই পরিস্থিতির সমাধানে সহায়তার জন্য তিনি মোদিকে ধন্যবাদ জানান। মোদি বলেন, ‘ভারত শান্তির পাশে রয়েছে।’









