প্রায় দেড় বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ধরা পড়লো বিদেশি একটি জাহাজ। জাহাজটিকে আদালতের নির্দেশে আটক করা হয়। মোজাম্বিক থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে এসে ধরা পড়ার ঘটনা শিপিং সেক্টরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাইপ্রাসের তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টার্ম অয়েল লিমিটেড ২৬ নভেম্বর ২০১৪ হতে ২৭ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত এমভি ডোনা ভি ( আইওএম নম্বর- ৯০৮২৭৪০) নামের জাহাজটির মাধ্যমে বাহরাইন, সৌদি আরব, কেনিয়া এবং জিবুতির বিভিন্ন বন্দরে বিপুল পরিমাণ তেল ও লুব অয়েল পরিবহন করানো হয়। কিন্তু জাহাজটির মালিক সরবরাহকৃত তেল ও লুব্রিকেন্টের মূল্য বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা আটকাতে থাকে। দীর্ঘদিনে লেনদেনে জাহাজ মালিকের নিকট টার্ম অয়েল লিমিটেড প্রায় ২২ কোটি টাকা পাওনা হয়ে যায়। জাহাজ মালিক টাকা পরিশোধ না করায় টার্ম অয়েল লিমিটেড ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মোজাম্বিকের আদালতে মামলা করে। মামলায় জাহাজটিকে আটকের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু জাহাজটি টাকা পরিশোধ না করে মোজাম্বিক থেকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বিশ্বের কোন বন্দরে জাহাজটি দেখা যায়নি। এটির উপস্থিতিও ঘোষণা দেয়া হয়নি। টার্ম অয়েল লিমিটেডের পক্ষ থেকে হন্য হয়ে জাহাজটিকে খোঁজা হচ্ছিল। অবশেষে প্রায় দেড় বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজটির হদিশ মিলে। গত ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে জাহাজটির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে টার্ম অয়েল কর্তৃপক্ষ গত ২ জুন বাংলাদেশ অ্যাডমিলারটি কোর্টে এমভি ডোনা ভি নামের জাহাজটির বিরুদ্ধে ২২ কোটি টাকা পাওনার দাবিতে মামলা করে। এতে জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে পালিয়ে যাওয়াসহ বিস্তারিত দালিলিক প্রমাণ দেয়া হয়। ঢাকার অ্যাডমিরালটি কোর্ট জাহাজটিকে আটক করার নির্দেশ দেন। গত ৪ জুন কোর্ট মার্শাল এসে জাহাজটি আটক করে। জাহাজটিকে ইতোমধ্যে সীতাকুণ্ডের একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে বিচিং করে রাখা হয়েছে। জাহাজটি স্ক্যাপ হিসেবে চট্টগ্রামে আনা হয় বলেও সূত্র জানায়।