ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। গত দুইদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০–২০ টাকা পর্যন্ত। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পর থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। ভোক্তারা বলছেন, বাজার চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি এবং ব্যাটারি গলি কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁকরল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গত দুইদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা দরে। শসার কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, মূলা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, লাউ ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গার দাম ১৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, বরবটি ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পটল কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে ৮০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, চালকুমড়া ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা এবং টমেটো ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা।
কাজীর দেউড়ি বাজারে সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পর পর দেশের উত্তরাঞ্চলসহ চট্টগ্রামের স্থানীয় উপজেলাগুলো থেকে সবজি আসার পরিমাণ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। আসলে কাঁচাপণ্যের বাজার কখনো ঠিক থাকে না। এক সপ্তাহে বাড়ে তো আরেক সপ্তাহে কমে।
কাজীর দেউড়ি বাজারে আসা ক্রেতা আশরাফুল মারুফ বলেন, ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন উপলক্ষকে পুঁজি করে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে থাকেন। অথচ এই সময়ে প্রশাসনের কোনো অভিযান লক্ষ্য করা যায় না।