মৈত্রী পূর্ণ আহবান

শরণংকর বড়ুয়া | শুক্রবার , ৭ এপ্রিল, ২০২৩ at ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

আমরা সকলেই মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছি প্রতিনিয়ত। কখন কী ভাবে কোথায় কার মৃত্যু হবে কেউ বলতে পারে না। মৃত্যু অতিব সত্য, পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে এই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এটাই নিয়ম এবং বাস্তবতা। সমাজে বা চারপাশে অনেক মানুষ আছে মৃত্যু বা পাপকে ভয় করে না। কর্মফলকে বিশ্বাস করে না, তারা এত অপকর্ম করে কোন ভয় তাদের মাঝে কখনই অনুভব হয় না। প্রত্যেকের জীবনটা পরিবর্তনশীল। আমারা কেউ বেঁচে থাকবো না।

 

সব মায়া মমতা, অর্থ সম্পদ, যশ খ্যাতি ত্যাগ করে এই অনিন্দ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চিরবিদায় নিতে হবে। তাই সময় থাকতে ভালো কাজ করতে হবে নিজের এবং অপরের জন্য। কিছু মানুষ আছে অহেতুক মানুষের প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ ছড়ানো, ক্ষতি করা, বিপদে ফেলানো, অন্যের সাথে থাকা সুসম্পর্ক নষ্ট করে

দেওয়া, কেউ সুখে থাকলে বা উপরে উঠতে চাইলে তাকে টেনে হেঁচড়ে নিচে নামানোর চেষ্টা। চরিত্রে দাগ লাগিয়ে দেওয়া, কটাক্ষ করে কথা বলা, হেয় করার জন্য সব সময় উঠে পড়ে লেগে থাকে। তাই দুষ্টু চরিত্রের মানুষের লাগানো কান কথাগুলো গুরুত্ব না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখতে হবে অন্যের

উন্নতিতে হিংসা কখনো করতে নেই। কারো বিপদ নিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে নেই। শিক্ষিত, অশিক্ষিত, গরীব, প্রতিপত্তি সকলেই যার যার অবস্থানে সম্মানের সাথে অধিষ্ঠিত এবং সুখী। লোভী ও দুষ্টু চরিত্রের মানুষগুলো দেশে ও সমাজের জন্য ভীষণ ক্ষতিকারক। নিজেদের কলংকিত জীবনকে অন্যের গায়ে লেপন করা

তাদের নৈতিক স্বভাব। আত্মীয় স্বজন বন্ধু হতে হবে সুখে দুঃখে সৎ পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে আসার মত বিশ্বাসী এবং উদার চিত্তের কল্যাণমিত্র পরায়ণ। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে সম্যক পথে অর্থাৎ নীতির পথে এগিয়ে যেতে হবে। সকলের প্রতি মৈত্রীপরায়ণ হয়ে অন্যের দুঃখে দুঃখী, অন্যের সুখে সুখী হয়ে এই ক্ষণিকের জীবন যাপন করাই শ্রেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তিযুদ্ধ ও একটি পরিবার