আজ থেকে ১৩৭ বছর আগে আমেরিকার শিকাগো শহরের শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস সহ মজুরি বৃদ্ধি, শিশু নারী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সরকার ও মালিকের গুণ্ডা বাহিনীর আক্রমণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয় যা শ্রমিক আন্দোলনে একটি মাইল ফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই আন্দোলনের অনেক শ্রমিক নিহত আহত হয়। ৯ জন শ্রমিক নেতাকে পরে ভুয়া বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। বিশ্বব্যাপী ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবী ছড়িয়ে পড়ে।
আমাদের দেশ বা উপমহাদেশের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের ইতিহাস কম গৌরবের নয়। আন্দোলন সংগ্রাম, জীবন বিসর্জন দিয়ে শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্ম দিবসের স্বীকৃতি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, ধর্মঘট এর অধিকার সহ অনেক অনেক অধিকার অর্জিত হয়েছে। শুধু নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নয় প্রয়োজনে মেহনতি মানুষ বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের জন্য ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান সর্বোপরি স্বাধীনতা যুদ্ধেও কর্মস্থল ত্যাগ করে শ্রমিক শ্রেণি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তাই বঙ্গবন্ধু তার বিখ্যাত ৭ ই মার্চের ভাষণে দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণি শোষণের যাতাকল থেকে মুক্তি পেয়েছে কি? বরং নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার হরণ করা হচ্ছে, সংকুচিত করা হচ্ছে। সম্প্রতি ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন–২০২০’ সংশোধন করে একটি বিল সংসদে করা হয়েছে। এই বিলে অত্যবশ্যকীয় পরিষেবা গণ্য করে প্রায় সকল ধরনের পেশাকে অন্তর্ভুক্ত করে যে কোন সময় সরকার অত্যবশ্যকীয় ঘোষণা করতে পারবে। ধর্মঘট নিষিদ্ধ ও শ্রমিক নেতাদের জেল–জরিমানা করা যাবে। এই আইনের আওতা সর্বব্যাপী বলে প্রতীয়মান হয়। অথচ আমাদের দেশের শ্রম আইনে বৈধ ধর্মঘটকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। এই শ্রম আইন বহাল থাকা অবস্থায় পরিষেবা আইনের নামে আইন সঙ্গত ধর্মঘটকে নিষিদ্ধ জেল জরিমানার আইন করা শ্রমিক শ্রেণির আন্তর্জাতিকভাবে অর্জিত অধিকারের উপর হস্তক্ষেপের সামিল।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন এ্যাক্ট ১৯২৬ দ্বারা এদেশে ট্রেড ইউনিয়ন আইন নিয়ন্ত্রিত হতো। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অর্ডিন্যান্স ও বিধি ট্রেড ইউনিয়ন পরিচালানোর জন্য জারী করা হয়। ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার কর্তৃক ‘শিল্প সম্পর্ক অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯’ জারীর ফলে পূর্বের আইন বাতিল হয়। ১৯৬৯ সালের অর্ডিন্যান্স সামরিক সরকার কর্তৃক জারী হলেও গণ অভুত্থ্যানের মুখে ফিল্ড মার্শাল নুর খান প্রণীত অর্ডিন্যান্স অনেক বেশি গণতান্ত্রিক ও আইন আইএলও কনভেনশন সমূহের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ ছিল। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু অর্ডিন্যান্স জারী করে এই আইনকে বাংলাদেশ চালু করেন। আমাদের দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি শ্রমিক কৃষকের ভূমিকাকে তাঁর বক্তৃতা–বিবৃতিতে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন তাতে ধারণা করি তিনি বেঁচে থাকলে আজকে দেশে অনেক বেশি গণতান্ত্রিক ও শ্রম বান্ধব শ্রম আইন প্রণীত হতো। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর সামরিক সরকার সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে অর্ডিন্যান্স জারির মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন অগণতান্ত্রিক অর্ডিন্যান্স জারি করে। মেহনতি মানুষের প্রতি সামরিক সরকারের কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না। প্রত্যক্ষ সামরিক সরকারের কারণে তার বিরুদ্ধে বড় কোনও আন্দোলন গড়ে তোলাও সম্ভব হয়নি।
শুধু তাই নয় অনেক ট্রেড ইউনিয়ন, বাম গণতান্ত্রিক আদর্শের নেতা ঘি–মধু মন্ত্রীত্বের লোভে জিয়ার দলে ভিড়ে যায়। নতুন অর্ডিন্যান্স জারির ফলে বস্তুত শ্রমিক আন্দোলন ও ট্রেড ইউনিয়ন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
ঐ অর্ডিন্যন্সে শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি সহানুভুতি সম্পন্ন দায়িত্বশীল নেতাদের বেসিক ইউনিয়নে নিষিদ্ধ করা হয়। শ্রমিকদের পছন্দ মত নেতা নির্বাচনের অধিকার খর্ব করা হয়। রাজনৈতিক দলের ভিত্তিতে শ্রমিক সংগঠন গঠনের বাধ্যবাধকতায় শ্রমিক শ্রেণিকে বহুধা বিভক্ত করা হয়। অথচ উপমহাদেশে তথা আমাদের দেশেও বহু উদাহরণ আছে। অনেক বড় বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা বেসিক ইউনিয়নের নেতা ছিল। মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু ছাড়াও চট্টগ্রামের জহুর আহম্মদ চৌধুরী, চৌধুরী হারুনুর রশীদ, এম এস হক, আহসান উল্লাহ চৌধুরী, জামসেদ আহমদ চৌধুরীর নাম উল্লেখযোগ্য। এরা যখন শ্রমিকদের দাবী দাওয়া নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে দর কষাকষি করতেন–তাদের লেখাপড়া, জানা–বুঝা, প্রজ্ঞা, যুক্তিতর্ক ও আইনের ব্যাখ্যাকে মালিক পক্ষ সম্মান দিতে বাধ্য হতো। তাঁরা মেহনতি মানুষকে কোনওদিন দলীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করেননি কিন্তু বর্তমান আইনের ফলে প্রতিষ্ঠানের বাইরে কোনও নেতা শ্রমিকরা নির্বাচিত করতে পারেন না ফলে কারখানার অভ্যন্তর থেকে নির্বাচিত নেতারা মালিক দের সামনে শ্রমিকদের দাবী এবং অধিকার নিয়ে কথা বলতে তটস্থ’ থাকেন। চাকরি হারানোর ভয় থাকে। দরকষাকষি ঠিকমত করতে পারেন না। তাদের প্রতি সম্মান রেখে বলা যায় তারা সব সময় মালিক পক্ষের হুমকীর মুখে থাকেন। দর কষাকষি করবেন কীভাবে? কারখানা, প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে যে ভালো নেতা থাকে না এমন নয়। পাটকল শ্রমিক নেতা আবুল বাশার পাটকলের একজন চাকরিচ্যুত শ্রমিক ছিলেন। গোটা দেশের পাটকল সমুহের অনেক বেসিক ইউনিয়নেও তিনি নির্বাচিত নেতা ছিলেন। জনাব আহসান উল্লাহ চৌধুরী পাকিস্তান আমলে চাকরিচ্যুত চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক নেতা। চাকরিচ্যুত হওয়ার পরেও শ্রম আইনে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তিনি দীর্ঘদিন বন্দরে নির্বাচিত নেতা ছিলেন। জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনেও এরা উল্লেখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
এদেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন ধংস করার মানসে ৭৬ সালে জারিকৃত সামরিক অর্ডিন্যান্স কুখ্যাত ভূমিকা পালন করে। পরবর্তী পর্যায়ে ২০০৬ সালে ৭৬ সালে জারীকৃত অগণতান্ত্রিক আইন যুক্ত করে সংসদে শ্রম আইন পাশ করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাধীনতার পক্ষের গণতান্ত্রিক সরকারের আমলেও এই অগণতান্ত্রিক আইন শুধু বহাল আছে এমন নয় বরং নতুন নতুন সংযোজনী সংশোধনী করে বিধিমালা প্রণয়ন করে শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২০’ সংশোধনের নামে সংসদে যে বিল উত্থাপন করা হয়েছে তাতে ব্যাপকভাবে কার্যত সরকারি বেসরকারি প্রায় সকল সেক্টর যুক্ত করে ধর্মঘট নিষিদ্ধ ও নেতাদের জেল জরিমানা করার যে বিধান রাখা হয়েছে তা গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলনের জন্য একটি অশনি সংকেত ও শ্রমিক অধিকারের উপর কঠোর হস্তক্ষেপ।
অথচ ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের স্কপ আহুত সর্বব্যাপী শ্রমিক ধর্মঘটের সময় বড় ২টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অগণতান্ত্রিক শ্রম আইন বাতিল করে ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মতামত নিয়ে নতুন গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন ও সরকারি বেসরকারি শ্রমিকদের মজুরী কাঠামো যুগোপযোগী করার ওয়াদা করেছিলেন। শ্রমিকরা উৎসাহিত হয়েছে।
এরশাদের পতনের পর তারা পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় গেলেও কেউ তাদের কথা রাখেননি বরং দেখা গেল দেশি বিদেশি কর্পোরেট লুটেরা পুঁজির স্বার্থরক্ষা করে চরম অগণতান্ত্রিক একটি শ্রম আইন দেশে বহাল রাখা হয়েছে এবং একে একে আরো অধিকার খর্ব করার পাঁয়তারা চলছে। তাই বলি এ আইন শ্রম–বান্ধব তো নয়ই বরং লুটেরা পুঁজি বান্ধব।
তারা তাদের পোঁ–ধরা কিছু শ্রমিক নেতাও তৈরী করেছে যাদের কাজ হল লুটেরা ও আমলাতন্ত্রের স্বার্থ রক্ষা করা।
দেশের শ্রমিক আন্দোলনের অবস্থা খুবই করুণ শ্রমিক আন্দোলন ক্ষীণবল। বিদেশি অর্থায়নে পুষ্ট কিছু এনজিও এখন শ্রমিক সংগঠন করছে, শ্রমিকদের সবক দিচ্ছে, ট্রেনিং দিচ্ছে। সকলের লক্ষ্য একটাই এদেশে যেন শ্রমিক স্বার্থ রক্ষাকারী, শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে না উঠে। দেশের প্রতিষ্ঠানিক অপ্রতিষ্ঠানিক সব খাতে মেহনতি মানুষের সংখ্যা এখন ৭ কোটির বেশি। তাদের অধিকাংশই শ্রমিক সংগঠনের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। তারা অসংগঠিত এবং নিয়মিত কাজও পায় না। ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠিত শ্রমিক সংখ্যা ৫–৬% এর বেশি নয়।
আইনে কন্ট্রাক্টরি প্রথা চালু করেছে পোশাকি নাম দিয়েছে আউট– সোর্সিং। আউট সোর্সিং এর নামে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। তাদের শ্রম আইনে প্রাপ্য অধিকার বলতে কোনও কিছু নেই। কন্ট্রাক্টরের ইচ্ছা মত তাদের কাজ থাকা না থাকা বেতন পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে। শ্রমিকদের মজুরির একটা অংশ কন্ট্রক্টররা কেটে নেয়। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা মূলক পেনশন, গ্র্যাচুয়িটি, চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে বা অবসরের পর সার্ভিস বেনিফিট কিছুই দেওয়া হয় না। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়নকে পরিকল্পিতভাবে দুর্বল করা হচ্ছে। শুধু বেসকারি প্রতিষ্ঠান নয় সরকারি প্রতিষ্ঠানেও আমলাদের মুনাফা দুর্নীতির জন্য এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। রেলের ওয়ার্কশপে কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে এই ওয়ার্কশপ ব্যবহার করে আমলা আর মধ্যস্বত্ব ভোগীদের মুনাফার পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা হচ্ছে। একদিকে কন্ট্রাক্টরের মুনাফা, আমলাদের অবৈধ আয় অন্যদিকে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। কৃষিতে হাড়ভাঙা মজুরির কৃষকদের বঞ্চিত করে মধ্যস্বত্বভোগী ফরিয়ারা মুনাফার বড় অংশ তুলে নেয়। শিল্প ও সেবা সেক্টরেও একইভাবে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দাপট চলছে। জাতীয় আন্তর্জাতিক বহু সংগঠন এনজিও শ্রমিক শ্রেণিকে দুর্বল ও বিভক্ত করার জন্য এইসব কৌশল প্রয়োগ করছে। কিছু শ্রমিক নেতাও এদের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। ফলে জাতীয় শ্রমিক আন্দোলন আজ দুর্দশাগ্রস্ত’ ও হীনবল হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ পাকিস্তান আমলে শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও মে দিবস পালন করতে হয়েছে সীমাবদ্ধভাবে শ্রমিকদের ব্যারাকে কলোনীতে। এখন সে দিবস সরকারি ছুটি হিসাবে গণ্য হয়। সরকারের উদ্যোগে মে দিবস পালন করা হয়। ঘটা করে মালিক শ্রমিক সরকার–ত্রিপক্ষীয় মে দিবস পালন করা হয়। এসব সভায় শ্রমিকদের সমস্যা তার অধিকার ন্যায্য মজুরি নিয়ে কোনও কথা বলা যায় না বা হয় না। বিভিন্ন সংগঠন ও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কর্মসূচী পালন করলেও সেগুলো জাতীয় শ্রমিক আন্দোলন গড়ার ক্ষেত্রে কোনও কাজে লাগে মনে হয় না। এ যেন ছেলের হাতে মোয়া দিয়ে তার হাতের আংটি কেড়ে নেওয়ার সামিল। তাই বলছিলাম মে দিবস এখন শ্রমিক শ্রেণির অধিকার সংহতি সংগ্রামের ত্যাগের ঐতিহ্য হিসাবে পালিত হয় না। স্রেফ আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হয়েছে।
তবে সব কিছু হারিয়ে গেছে এমন নয়–সম্প্রতি বাংলাদেশের লক্ষাধিক চা শ্রমিকের দীর্ঘ ৩ সপ্তাহ ব্যাপী কর্মবিরতি ধর্মঘট ও তীব্র আন্দোলনের ফলে অনিচ্ছুক মালিকদের কাছ থেকে চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে জার্মানিতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন, ফ্রান্সে পেনশন সংস্কার বিরোধী আন্দোলন শ্রমিক আন্দোলনে নতুন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে।
আশাকরি আমাদের দেশের শ্রমিক শ্রেণি তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করে শ্রম আইন সংশোধন করতে সমর্থ হবে–মে দিবস আমাদের এই শিক্ষায় দেয়। দুনিয়ার মজদুর এক হও। মেহনতি মানুষের ঐক্যের জয় হোক।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, চট্টগ্রাম জেলা কমিটি।