নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ফটিকছড়ির ভূজপুর এলাকায় ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণে আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আদালত অভিযুক্তকে ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
এছাড়া ৯(৪) (খ) ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায় দেয় আদালত। বাংলানিউজ
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৭ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, “ফটিকছড়ির ভূজপুর এলাকায় নিজের ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া পৃথক একটি ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দু’টি সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায় দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।”
পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ২০১৯ সালের জুনে বাড়িতে নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করেন বাবা। পরে ঘটনা জানতে পারলে মেয়েটির মা নিজে বাদি হয়ে ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০২০ সালের মার্চে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, “বাদি আদালতে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে আবেদন দিয়েছিলেন কিন্তু আমরা রাষ্ট্রপক্ষ তা সমর্থণ করিনি। বিষয়টি খুবই জঘন্য ও দুঃখজনক। এই অপরাধের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন ছিল।”