কক্সবাজার এলএ শাখায় জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি ও দালালি করে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, তার ছেলে হাসান মেহেদী রহমান ও পৌর কাউন্সিলর ওমর ছিদ্দিক লালুর ২০ লাখ ১২ হাজার ৬৭৫ টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক কক্সবাজার শাখায় জরুরি চিঠি দিয়ে ব্যাংক হিসেবে থাকা এসব টাকা জব্দ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। তদ্মধ্যে মুজিবুর রহমানের হিসাব থেকে ১৮ লাখ ৭৮ হাজার ৬০১ টাকা এবং মেহেদীর হিসাব থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ টাকা জব্দ করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাবের অভিযানে ঘুষের ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকাসহ গ্রেপ্তার হন কক্সবাজার এলএ শাখার সার্ভেয়ার ওয়াশিম খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুদকের মামলার তদন্ত শুরু হলে গত দুইমাস ধরে কঙবাজার জুড়ে এলএ শাখার দালালদের মধ্যে আতংক তৈরি হয়। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে কঙবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, তার ছেলেসহ কঙবাজারের দুইজন সাংবাদিক, কয়েজজন আইনজীবী, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ প্রায় অর্ধশত দালালের নাম উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম; নেপথ্যে স্ত্রী-শ্যালকসহ পৌর মেয়র, অনুসন্ধানে দুদক; কঙবাজার ভূ-উপরস্থ পানি শোধনাগার স্থাপন প্রকল্প’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর কঙবাজার জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।