প্রতিপক্ষ শিবিরে লিওনেল মেসির উপস্থিতি মানেই যেকোনো দলের জন্য মাথাব্যথার কারণ। তবে কলম্বিয়ার সাবেক ফরোয়ার্ড আদোলফো ভালেন্সিয়ার মতে, এখন আর আগের মতো ধারাল নন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বয়সের সঙ্গে গতি ও শক্তি কমেছে তার। কোপা আমেরিকার আসছে ফাইনালে তাই নির্ভয়ে সুযোগটি কাজে লাগাতে উত্তরসূরিদের পরামর্শ দিয়েছেন ভালেন্সিয়া। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কলম্বিয়া ২৩ বছর পর উঠেছে মহাদেশের সেরা এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে। লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পুনরুদ্ধারের সুযোগ তাদের সামনে। প্রায় দুই যুগের শিরোপা খরা কাটাতে দলটিকে অবশ্য দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা; শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে যে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার শিরোপাধারী ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে যেকোনো দলকেই আলাদা করে ভাবতে হয় মেসিকে নিয়ে। সোমবারের ফাইনালে নামার আগে স্বাভাবিকভাবে কলম্বিয়ার পরিকল্পনার বড় একটি অংশ জুড়ে থাকবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। ভালেন্সিয়ার ভাবনা অবশ্য ভিন্ন। মেসি কিংবা বিদায়ী আনহেল দি মারিয়াকে নিয়ে খুব ভীতির কিছু দেখছেন না তিনি। তার মতে, সময়ের সঙ্গে নিজেদের ধার হারিয়ে ফেলেছেন এই দুই তারকা ফরোয়ার্ড। ‘সে এখন আর সেই মেসি নেই, যাকে আমরা বার্সেলোনায় দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম সে গতি হারিয়েছে, বয়সের ভারে সে শক্তি হারিয়েছে। তাই তরুণ কলম্বিয়ানদের জানা দরকার যে, সে আর আগের মেসি নয়। দি মারিয়া সেই খেলোয়াড় নয় যাকে আমরা ২৩, ২৪, ২৬, ২৭ বছর বয়সে জানতাম… আমাদের এই সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’ ৫৬ বছর বয়সী ভালেন্সিয়ার মতে, সেরা সময়ে থাকা মেসিকে কয়েকজন মিলেও আটকাতে বেগ পেতে হতো। কিন্তু এখন সেই সময় পেছনে ফেলে এসেছেন আটবার বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডিও’র জয়ী এই ফুটবলার।
ভালেন্সিয়া মনে করছেন, ৩৭ বছর বয়সী মেসিকে এখন থামাতে পারে যে কেউ। তবে মেসির প্রতি অগাধ সম্মান থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ‘এখন মেসিকে যে কেউ থামাতে পারে। তবে সে যা কিছু করেছে। আমি সবসময় তার ভক্ত, আমি তাকে একজন খেলোয়াড় এবং ব্যক্তি হিসেবে সম্মান করি। কারণ সে একজন পেশাদার খেলোয়াড় যার কখনও কোনো অভিযোগ ছিল না, আমি তার এই গুণের ভক্ত।’