তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) উইকেট নিয়ে রায় দিয়েছে আইসিসি। অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের এই ভেন্যুর পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। আইসিসি পিচ ও আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়ার অধীনে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে আইকনিক স্টেডিয়ামটিকে। ডিমেরিট পয়েন্ট পাঁচ বছর ধরে সক্রিয় থাকবে। পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে কোনো ভেন্যু ৬ বা এর বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়। আর ১২ ডিমেরিট পয়েন্টের সীমা অতিক্রম করলে নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের। এমসিজিতে দুই দিনে শেষ হওয়া বক্সিং ডে টেস্ট নিয়ে চলছে প্রবল বিতর্ক। উইকেটে ১০ মিলিমিটার ঘাস রেখে দিয়েছিলেন কিউরেটর ম্যাট পেজ। পেসারদের জন্য ছিল প্রবল সহায়তা। বাড়তি মুভমেন্ট ও বাউন্স তো ছিলই, ব্যাটারদের মূল বিভীষিকা ছিল অন্য জায়গায়। একই জায়গায় পিচ করে বল কখনও কম মুভ করেছে, কখনও বেশি, কখনও আবার মুভ করেনি। দুই দল মিলিয়ে প্রথম দিনেই পতন হয় ২০ উইকেট, দুই দিনে ৩৬টি। ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে যায় ৪ উইকেটে। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো পিচ নিয়ে তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘এমসিজির পিচ বোলারদের জন্য খুব বেশি সহায়ক ছিল। প্রথম দিন পড়েছিল ২০টি উইকেট, দ্বিতীয় দিন ১৬টি এবং কোনো ব্যাটসম্যান অর্ধশতক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি। নির্দেশিকা অনুসারে পিচটি ‘অসন্তোষজনক’ ছিল এবং ভেন্যুটি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে।’ উইকেট নিয়ে সাবেক–বর্তমান ক্রিকেটারদের সমালোচনা তো আছেই, দুই দিনে টেস্ট শেষ হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মোটামুটি এক কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমসিজিতে প্রথম দুই দিনেই রেকর্ড দর্শক হয়েছিল। তৃতীয় দিনেও রেকর্ড দর্শকের আশা ছিল আগাম টিকেট বিক্রির পরিমাণ থেকে। তৃতীয় দিনের ৯০ হাজারের বেশি বিক্রি হওয়া টিকেটের মূল্য ফেরত দিতে হয়েছে। চতুর্থ দিনের হাজার হাজার টিকেটও আগাম বিক্রি হয়েছিল। পার্থে প্রথম টেস্ট দুই দিনে শেষ হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতির পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। ওই ম্যাচের পিচকে অবশ্য ‘খুব ভালো’ রেটিং দিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি রাঞ্জান মাদুগালে।











