শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং ভালো ফলের জন্য উৎসাহ দিতে মেধাবৃত্তি প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মেধাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে দেশ অনেক সম্পদ পাবে। আদর্শ শিক্ষা অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য থাকতে হয়। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং স্বপ্ন না থাকলে সুশিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত লেখাপড়া না করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। তাছাড়া ঠিকমতো বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমেই সঠিক মানূষ হয়ে গড়ে উঠতে পারবে। শিশুদের মেধা বিকাশে শিক্ষা কার্যক্রম কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। মুখস্থ বিদ্যা নির্ভর পাঠ্যসূচি শিশুদের স্বাভাবিক শিক্ষাগ্রহণে বরং বাধার সৃষ্টি করছে। আমাদের শিক্ষানীতি একটি বিশ্বমানের শিক্ষানীতি। এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে আমাদের শিক্ষার মানের যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শিশুদের মেধা বিকাশে মুখস্ত বিদ্যার বাইরের কিছু প্রয়োজন। মুখস্থ বিদ্যা একটি শিশুর প্রতিভাকে কখনোই বিকশিত করতে পারে না। এতে করে তার শিখন হবে সাময়িক। বাস্তবতার আলোকে সে মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে নিজেকে কখনোই বদলাতে পারবে না। এই জন্য শিক্ষা পদ্ধতির কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে হবে। শিখন হবে হাতে কলমে। অর্থাৎ পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার বদলে উদ্ভাবনমূলক সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
মেধা বিকাশে আমাদের কিছু করণীয়: শিশুর পছন্দের ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে সেটাই যা সে সত্যিই পছন্দ করে। তার সেই আগ্রহকে কেন্দ্র করে মেধা বিকাশে এগিয়ে নিতে হবে তাকে। যতক্ষণ অব্দি সে তার লক্ষ্যে না পৌঁছায়। একবার যদি সে তার স্বপ্নের দেখা পায়, তাহলে সেই স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার পথ সে আপনা থেকেই সৃষ্টি করবে। কারণ সে তখন জীবন সম্পর্কে বুঝতে পারবে। এটাই সেই পথ যা নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে চলেছে।