চন্দনাইশের বরকল এসজেড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন মুনমুন আক্তার। কিন্তু তার পিতা একজন কৃষক ও পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। তাই দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে মেধাবী মুনমুন এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেও পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ছিল বেশ চিন্তিত। দরিদ্র পিতার পক্ষে কলেজে ভর্তি করানো, প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী কিনে দেয়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। অথচ তার স্বপ্ন সে পড়ালেখা শেষে একজন ভালো চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের সেবা করা। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসলেন চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বরমা ইউনিয়নের পশ্চিম চর–বরমা এলাকায় মুনমুন আক্তারদের বাড়িতে গিয়ে তার হাতে একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির বইসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী এবং কলেজে ভর্তির খরচসহ নগদ অর্থ তুলে দেন। শিক্ষা উপকরণ ও কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে খুশি মেধাবী শিক্ষার্থী মুনমুন আক্তার। একই সাথে খুশি তার দরিদ্র পিতা মো. জামাল হোসেন ও পরিবারের সদস্যরা। কলেজে ভর্তির সুযোগ ও বইসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী পেয়ে উচ্ছসিত মুনমুন বলেন, পড়ালেখা আমার খুব ভালো লাগে। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেও কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। অবশেষে আমাকে কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ায় আমি চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আমি একজন চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমার মতো অসহায়দের সেবা করতে চাই।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মেধাবী শিক্ষার্থী মুনমুনের পারিবারিক জায়গা জমি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে বিরোধের তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি মুনমুন মেয়েটি পড়ালেখায় খুব মেধাবী এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরে মেয়েটা যাতে ভালোভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে, তার পড়ালেখায় যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্য সবরকম ব্যবস্থাও গ্রহণ করি। সে তার অধ্যবসায় ও নিজের প্রচেষ্টায় এসএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। অজপাড়াগাঁয়ের একটি মেয়ে জিপিএ–৫ পেয়ে দরিদ্র কৃষক পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। মুনমুন ভবিষ্যতেও যাতে ভালোভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।












