আমার ধারণা আমরা কেউ মেধাহীন নই। সবাই মেধাবী। আমি অঙ্কে কাঁচা কিন্তু বাংলায় পাকা। আমাকে তাই মেধাহীন বলা যাবে না। আমার কেন জানি মনে হয় রবি ঠাকুরও আমার মতো অঙ্কে কাঁচা ছিলেন, অথচ মেধার শক্তিতেই তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁকে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও সম্মান করতেন। রবীন্দ্রনাথ এই সম্মান অর্জন করেছিলেন তাঁর মেধার গুণেই। মেধারও আবার এ, বি, সি, ডি গ্রেড রয়েছে। রবি ঠাকুর ছিলেন এ গ্রেডের মেধাবী। আমি কোনো গ্রেডের মধ্যে না পড়লেও সার্বিক মূল্যায়নে আমাকেও মেধাবী বলা হয়। আমি মাঝে মাঝে অবাক হই পকেটমারদের মেধা দেখে। তারা যাত্রীদের চোখের সামনেই পকেট কাটে, অথচ আমরা টের পাই না। আমি ঠিক করেছি আমরা কয়েকজন মিলে ‘মেধা নিয়ন্ত্রন সিন্ডিকেট’ গঠন করবো। এরা অতি মেধাবীদের নিয়ন্ত্রণ করবে যাতে তারা মেধা পাচার করতে না পারে। ছেলেবেলায় ডিমকে অতি সস্তা খাবার মনে হতো। এখন ভয়ে স্বপ্নেও ডিম খাই না। এবার ‘ডিম দিবসে’ কাউকেও দেখলাম না ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে বিশদভাবে কিছু লিখতে। আমি লিখলে লিখতাম ডিমের পুষ্টিগুণ এখন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে গিয়ে বুঝতে পারি ক্রেতাদের চাইতে বিক্রেতারা এখন বেশি মেধাবী। ‘মরা হাতি লাখ টাকা’। মরা মাছের অবস্থাও এখন অনেকটা সেরকম হয়েছে। ইলিশ মাছের দাম শুনে ‘চোখে সর্ষে ফুল’ দেখি। মুরগির মাংস খাওয়ার মুরোদ নেই তাই রেয়াজ উদ্দিন বাজারে গিয়ে মুরগীর ঠ্যাং কিনি। সেটাই এখন ‘আঙ্গুল চোষা’র মতো চুষি। লাউ খাওয়ার সাধ হলেও ‘সাধের লাউ’ না কিনে বৈরাগী হতে ইচ্ছে করে। পারি না কারণ রবি ঠাকুর বলেছেন, ‘বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়’। একজন স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী বলেছেন দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ ও ছাড়লে নাকি মানুষ প্রাণবন্ত হয়। আমি একাজন মেধাবী ব্যক্তি। এ জন্য মেধাবী বিজ্ঞানীর কথা উড়িয়ে দিতে পারি না। আমি এখন প্রতিদিন দীর্ঘশ্বাস গ্রহণ এবং ছাড়ছি। হচ্ছি প্রাণবন্ত ও সজীব।