দুপাশ– চারপাশ জুড়ে
পাহাড়সারি;
মাঝে বিপুলা নীল জলরাশি নিঃসীম নীল আকাশ
ছোটো ছোটো ঢেউয়ের তালে
তেজীয়ান পাহাড়ি চালকের লক্ষ্যভেদী
হাতের ইশরায় গতিযান ছুটে চলে গন্তব্যে—
পানকৌড়ির উড়ে উড়ে ডুব সাঁতারের দৃশ্য মন জুড়ায়
ধীবর ছুটে চলে জীবিকার তাড়নায়
শাদা বক উড়ে উড়ে তীরে এসে তীক্ষ্ণ চোখে
মশহুর শিকারের নেশায়
দুরন্ত দুপুরে পাহাড়ের চূড়া ঘেঁষে
মেঘে আগুন জ্বলে এইখানে
বেলা শেষে পাহাড়ের গায়ে
সূর্যের কিরণের মেলা বসে এইখানে
কখনও অরণ্যের কোনো এক রহস্যময় গুহা থেকে
বুদবুদ ধোঁয়ার উদগীরণে প্রকৃতি বদলে যায় এইখানে
যখন সন্ধ্যা নামে তখন পাহাড়ের শরীর বেয়ে বেয়ে
চাঁদ উঠে আকাশে এইখানে
দিনমান শেষে অনতিদূরে তীরে
পলওয়েল পার্ক আমাকে ডাকে—
কোনো এক শরতের শিশির ভেজা ভোরে
বাউলের বেশে একতারা বাজাতে বাজাতে
কিংবা জীবনানন্দের আলখাল্লা পরে
ঢেউয়ের তালে তালে অরণ্যের গানে গানে
আবার আসব ফিরে এইখানে