প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডি থানার মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের পাসপোর্ট, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ অন্যান্য জিনিস পত্রের ফরেনসিক তৈরির নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। এছাড়া তার এসব জিনিসপত্র কী কারণে জিম্মায় ফেরত দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজিরা প্রদান করেন মেঘনা আলম। এরপর মেঘনা আলমের জব্দকৃত জিনিস পত্র পাসপোর্ট, আইফোন–১৬ প্রো, ম্যাগবুক, অপো মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিজ জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। খবর বাসসের।
শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩১ আগস্টের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এসব জিনিসের ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি করতে এবং এসব জিনিস কী কারণে মেঘনা আলমের জিম্মায় ফেরত দেয়া হবে না– তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এর আগে, গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম ও দেওয়ার সমিরসহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক, প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে সুকৌশলে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মর্মে জানা যায়।
এছাড়া ইতোপূর্বে তার মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষনীয় ও স্মার্ট মেয়েদেরকে তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করাই ছিল তার উদ্দেশ্য।