চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান সিডিএ’র মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল পুনরুদ্ধার প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) জমা দিতে বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল দুপুরে রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে ডিপিপি জমা দিতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আজাদীকে বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১ খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা জরুরি। এ জন্য প্রকল্প নেয়া দরকার। প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তখন আমাকে ২১ খাল পুনরুদ্ধারে ডিপিপি প্রণয়ন করে জমা দিতে বলেছেন। মেয়র বলেন, ময়লা–আবর্জনা অপসারণে ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহে আমাদের একটা প্রকল্প আটকে আছে। প্রকল্পের বিষয়েও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এদিকে চসিকের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ডা. শাহাদাত হোসেনের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে সিটি মেয়রের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা দুই দশক পর সফলভাবে নিরসন করায় মেয়রকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং এ প্রচেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ২০২৪ সালে নগরের ৮৫টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ২০২৫ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩৩ এ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে নগরে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকার সংখ্যা কমেছে ৫২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন– ‘আমি মেয়র হওয়ার পর সবগুলো সংস্থাকে নিয়ে বসেছি। চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা আমরা অর্ধেকে নামিয়ে এসেছি। নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ নগরীর ৩৬টি খাল উদ্ধার, পরিষ্কার ও পুনঃখনন কাজ করছে। এর বাইরে সিটি কর্পোরেশন একটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে নগরের বাকী ২১টি খাল খনন জরুরি। এ জন্য প্রকল্প নেয়া দরকার। তখন প্রধান উপদেষ্টা মেয়রকে ২১ টি খাল খননের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে জমা দিতে বলেছেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম নগরকে একটি জলাবদ্ধতামুক্ত, আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করা সম্ভব হবে– মেয়র এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।












