মেগা প্রকল্পের কাজ শেষে দুই বছর রক্ষণাবেক্ষণ

এরপর চসিককে বুঝিয়ে দেবে সিডিএ ।। উন্নয়ন চার্জ, স্লুইচ গেটসহ কয়েকটি বিষয়েও সিদ্ধান্ত ।। জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা সভা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১ আগস্ট, ২০২২ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান সিডিএর মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) বুঝিয়ে দেয়া যাবে না। প্রকল্পটির পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর দুই বছর সিডিএ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চসিককে বুঝিয়ে দেবে। এমনকি প্রকল্পভুক্ত যে ১২টি খাল, ৫৪টি ব্রিজ-কালভার্ট, ১০ দশমিক ৭ কিলোমিটার নতুন ড্রেন ও ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রোড সাইড ড্রেন নির্মাণ শেষ হয়েছে তার রক্ষণাবেক্ষণও প্রকল্প শতভাগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিডিএকে করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর বা কাস্টমস থেকে উন্নয়ন চার্জ ফি খাতে চসিককে প্রতি অর্থবছরে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ প্রদান, বাকলিয়া এক্সেস রোডের উচ্চতা কমিয়ে তিন ফুট করা, নগরের বিভিন্ন খালে স্থাপিত স্লুইচ গেট এফআরপি (ফাইবার রিইনফোর্সড প্লাস্টিক) ধরনের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া চসিকের বারইপাড়া খালের অর্থ ছাড়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি, অর্গানোগ্রামের বাইরে থাকা জনবলকে আউটসোর্সিংয়ের আওতায় আনা, বন্দর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে কর্ণফুলী নদী ড্রেজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম। সভার সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন মো. আবুল হাশেম।

চসিককে উন্নয়ন চার্জ দিতে একমত : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০২১-এর চূড়ান্ত হওয়া খসড়া অনুযায়ী, বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ শতাংশ অর্থ পাবে চসিক। আইনটি চূড়ান্ত হয়ে অনুমোদন পেলে বা বাস্তবায়িত হলে চসিকের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি সভায় তুলে ধরেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তখন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, শুধু বন্দরের আইনে থাকলে হবে না। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনেও থাকতে হবে। তাছাড়া বন্দর কেন তার আয় থেকে কর্র্পোরেশনকে টাকা দিতে যাবে। তবে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে অক্ট্রয় (নগর শুল্ক) আইন নতুন করে চালু করতে হবে অথবা জাহাজিকরণ থেকে আদায় করা যেতে পারে।

এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যবাহী গাড়িগুলো কর্পোরেশনের রাস্তা ব্যবহার করে। বন্দরের ভারী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যানের জন্য আমাদের রাস্তার ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার করতে গিয়ে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তাই বন্দরে যতগুলো গাড়ি ঢুকবে প্রতিটির বিপরীতে উন্নয়ন চার্জ হিসেবে নির্দিষ্ট অংকের টাকা কর্পোরেশনকে পরিশোধ করতে হবে।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়ন চার্জ দেয়ার বিষয়ে একমত হন। এক্ষেত্রে বলা হয়, বন্দর বা কাস্টমস যে কোনো একটা সংস্থা থেকেই চসিককে উন্নয়ন চার্জ হিসেবে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনের আওতায় কর্পোরেশনকে কীভাবে ওই চার্জ দেয়া যায় সেটা নিয়ে যা করণীয় তা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন আইনও সংশোধন করা হবে। এছাড়া বন্দরের গাড়িগুলো যেসব গেট দিয়ে প্রবেশ করে ওই গেটেও উন্নয়ন চার্জের টাকা আদায় করা যেতে পারে বলে সভায় প্রস্তাবনা আসে।

মাঝপথে প্রকল্প বুঝে নেবে না চসিক : সভায় নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী জানান, ইতোমধ্যে ১২টি খালের কাজ শেষ হয়েছে। ওসব খাল সিটি কর্পোরেশনকে বুঝে নেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

এ বিষয়ে আপত্তি জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগে কর্পোরেশন মাঝ পথে কেন বুঝে নেবে? খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণের সামর্থ্যও তো কর্পোরেশনের নেই।

এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, খাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি বছর ১০০ কোটি টাকা লাগবে। বর্তমানে কর্পোরেশনের এ খরচ বহনের সক্ষমতা নেই। যদি বছরে ১০০ কোটি দেয়া হয় তাহলে খাল বুঝে নিতে আমাদের আপত্তি নেই।

তখন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, আগে যেভাবে চসিক খাল-নালা পরিষ্কার করত বুঝে নেয়ার পরও সেভাবে করতে পারে।
পরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে সিটি কর্পোরেশনকে প্রকল্প বুঝিয়ে না দিয়ে সিডিএ প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ করুক। তিনি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরও পরবর্তী দুই বছর যেন সিডিএ রক্ষণাবেক্ষণ করে সে প্রস্তাব করেন। এছাড়া প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএকে খালের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে বলে প্রস্তাব করেন।

বাকলিয়া এঙেস রোডের উচ্চতা কমবে : বাকলিয়া এঙেস রোডের উচ্চতা কমানোর প্রস্তাব করেন ড. হাছান মাহমুদ। ২০৫ কোটি ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সড়কটি জলাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে ৬ ফুট উঁচু করার কথা। জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরে মেগা প্রকল্পসহ একাধিক প্রকল্পের কাজ চলছে। তাই নির্মাণাধীন সড়কটির উচ্চতা বেশি করা হচ্ছে কেন সে প্রশ্ন তুলেন মন্ত্রী। সড়কটি বেশি উঁচু করা হলে আশেপাশের বাড়িঘর নিচু হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি হলে পানি আটকে থাকার শঙ্কা প্রকাশ করেন। তাই সড়কটির উচ্চতা তিন ফুট কমানোর প্রস্তাব করেন তথ্যমন্ত্রী। এ প্রস্তাবনা অন্যরাও সমর্থন করেন। সভায় বাকলিয়া এঙেস রোডের উচ্চতা কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বারইপাড়া খালের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি : চলতি অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রকল্পসমূহের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে প্রস্তুতকৃত ‘বি’ ক্যাটাগরির তালিকায় রয়েছে চসিকের ১ হাজার ৩২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার বহদ্দারহাট থেকে বারইপাড়া পর্যন্ত নতুন খাল খনন প্রকল্প। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রকল্পে সরকারি সহায়তা বা জিওবি ফান্ডের ২৫ শতাংশ ব্যয় কমানো হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটিতে এডিপি বরাদ্দ প্রস্তাব রয়েছে ১৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

এ বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান মেয়র। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২৫ কোটি টাকার কাজ হয়ে গেছে। বরাদ্দ যদি ১৭ কোটি টাকা হয় তাহলে প্রকল্পের কাজ শেষ করব কিভাবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি চট্টগ্রামের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা উপমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকায় পড়েছে প্রকল্পটি। খালটির কাজ শেষ করতে পারলে বাকলিয়াসহ আশেপাশের এলাকার লোকজন জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন। কাজেই এ প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রকল্পটির বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

স্লুইচ গেট হতে হবে এফআরপি : জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর মেগা প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পের আওতায় ২৩টি এবং সিডিএর আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ১২টি স্লুইচ গেট নির্মাণের কথা। এর মধ্যে মেগা প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রকল্পের স্লুইচ হচ্ছে এফআরপি (ফাইবার রিইনফোর্সড প্লাস্টিক) ধরনের। এগুলো মরিচারোধক। তবে অন্যান্য প্রকল্পের স্লুইচ গেটে এমএস শিট ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সভায়। উল্লেখ্য, এমএস শিটের স্লুইচ গেটে মরিচা ধরে।

এ বিষয়ে সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আপত্তি জানান। তাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে, সবগুলো স্লুইচ গেট এফআরপি ধরনের হতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনে পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সবগুলো স্লুইচ গেটকে টেকসই করতে এফআরপি ধরনের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চসিক মেয়রের প্রশংসা : নগরের জলাবদ্ধতার কারণ খুঁজতে ২২ জুন একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে নগরের বিভিন্ন খাল-নালায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে চসিক, যার প্রশংসা করেন তিন মন্ত্রী। তারা মনে করেন, কর্পোরেশনের এ কাজ ছিল দৃশ্যমান। নগরবাসী দেখেছে কর্পোরেশন তার আওতাভুক্ত নালা-নর্দমায় কাজ করছে। চসিকের এ কাজের সুফল ছিল। একইভাবে সিডিএকেও তার আওতাভুক্ত খাল পরিষ্কার করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সিডিএ চেয়ারম্যান ও মেগা প্রকল্পের পরিচালকের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বর্ষার আগে খালের বাঁধ না কাটায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। আমি আগে না বললেও এখন বলতে বাধ্য হলাম, বাঁধ না কাটার কারণে মানুষ কষ্ট পেয়েছে। বিষয়টিতে অন্য দুই মন্ত্রীও সম্মতি জানান।

চসিকের জনবল প্রসঙ্গে : চসিকের অর্গানোগ্রামের আওতায় যেসব পদ খালি আছে সেগুলো দ্রুত পূরণ করার নির্দেশনা দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এর বাইরে যারা কর্মরত আছেন তাদের আউটসোর্সিংয়ের আওতায় আনারও নির্দেশনা দেন।
অন্যান্য : সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। তিনি চাকতাই খাল খনন, কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদ দেন।
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পের কাজ আটকে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হলেও মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সামনে থেকে বর্ষার আগে খাল থেকে মাটি উত্তোলনেরও তাগাদা দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী যা বললেন : সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের নামে সরকারি অর্থের অপচয় করা যাবে না। ইমপেক্ট এবং আউটপুট বিশ্লেষণ করে প্রকল্প নেয়ার তাগিদ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহার করতে হবে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যা চট্টগ্রামের বড় একটি সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী নিজে সময়ে সময়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়াও হয়েছে। এই সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের অনেক সফলতা আছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব হিসেবে পরিচিত। এই শহরটিকে দেশের আইডল সিটি হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যদি কার্যকর না হয় অথবা যাচাই বাছাই না করে গ্রহণ করা হলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা খাল দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং বানিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন। খালের উপর দোকান-পাট বানিয়েছেন। এগুলোর কারণে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। কিছু মানুষের জন্য কোটি কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হতে পারে না। এ সময় সকল খাল দখলমুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু : বাঙালির ধ্রুবতারা
পরবর্তী নিবন্ধনীরদচন্দ্র চৌধুরী : মননশীল লেখক ও চিন্তাবিদ