মৃত শ্বশুরকে দেখতে যাওয়ার পথে মসজিদের ইমামকে অপহরণ

পরে ছাড়া পেলেন ‘মুক্তিপণে’

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ২৬ মার্চ, ২০২৫ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

মৃত শ্বশুরকে দেখতে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক মসজিদের ইমাম। তবে অপহরণের ১৪ ঘণ্টা পর ২ লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ দিয়ে ডাকাতদলের কব্জা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে দাবি করেছে পরিবার সূত্র। অপহৃত ইমামের নাম মাওলানা মিজানুর রহমান আজিজী (৩০)। তিনি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাটা জঙ্গল এলাকার মসজিদের ইমাম ও বড় বিল এবতেদায়ী নূরানি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক। তিনি স্থানীয় মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সড়কের হিমছড়ি ঢালা থেকে তাকে অপহরণ করা হয় এবং রাত ৯টার দিকে রামুর জোয়ারিয়ানালা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় তাকে ছেড়ে দেয় ডাকাতদল।

ঈদগড়ের সংবাদকর্মী আবুল কাশেম জানান, শ্বশুরের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মৃতদেহ দেখতে যাচ্ছিলেন মিজানুর রহমান। সিএনজিতে করে ঈদগাঁওর শ্বশুর বাড়ি আসার পথে তিনি ডাকাতের কবলে পড়েন। এ সময় ডাকাতরা ফাঁকা গুলি করে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নেয় এবং ইমামকে অপহরণ করে গহীন জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়।

অপহৃতের বড়ভাই আবু বক্কর জানান, মিজানুর রহমান আজিজীকে অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর মুঠোফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ডাকাতরা। না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। শেষে দর কষাকষি করে ২ লাখ টাকায় মুক্তি দিতে রাজি হয় তারা। এর অংশ হিসেবে অপহরণকারীদের কথামতো রাত ৯টার দিকে টাকা নিয়ে জোয়ারিয়ানালা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় যায় আবু বক্করসহ পাঁচজন। সেখানে আসেন ১০১২ জন সশস্ত্র ডাকাত। তারা টাকা বুঝে নিয়ে মিজানুর রহমানকে ছেড়ে দেয়।

মুক্তির পর মিজানুর রহমান আজিজী বলেন, মুক্তিপণের জন্য আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে অপহরণকারী ডাকাতরা। তারা মেরে মেরে পরিবারের কাছে টাকার জন্য ফোন করায়।

এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশি তৎপরতার মধ্যে রাতে তাকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধএস আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২ মামলা