জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। গতকাল দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ অভিযানটি পরিচালনা করে। এতে নেতৃত্ব দেন কার্যালয়টির সহকারী পরিচালক সাঈদ আলম। এসময় মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন সংক্রান্তে নমিনি কর্তৃক এক অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রকে ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।
দুদক জানায়, ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম পিডিবিতে ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত অবস্থায় মারা যান মোজাফফর আহমেদ। তার বাড়ি জেলার লোহাগাড়া উপজেলায়। তার তিন ছেলে। ২০১১ সালে মনোনীত উত্তরাধিকার অর্থাৎ স্ত্রীর কাছ থেকে ক্ষমতা পেয়ে পেনশনের ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তার ছোট ছেলে। সেই ছেলের তখন বয়স ছিল ১৪ বছর। সমপ্রতি মৃত মোজাফফরের বঞ্চিত দুই ছেলে দুদকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এতে পিডিবি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পিতার পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাইকে দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
দুদক আরো জানায়, অভিযানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর অতি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠাবে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যে, জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত কর্মচারীর পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, আগ্রাবাদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অভিযোগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারী টিম সেগুলো প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনাও করেছে। এতে অভিযোগ বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, সংগ্রহকৃত রেকর্ডপত্র আরো পর্যালোচনা করা হবে। এরপর কমিশনের কাছে অতি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠানো হবে।