মৃত্যু ফের দুই শতাধিক

৮২ জনই ঢাকা বিভাগের।। দৈনিক শনাক্ত নামল ৯ হাজারের নিচে

| রবিবার , ১৮ জুলাই, ২০২১ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

দেশে পাঁচ দিন পর ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১২ হাজারের নিচে নামল। তবে মৃত্যু আগের দিনের চেয়ে আবার বেড়ে ২০০ ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৮ হাজার ৪৮৯ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমণে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত পাঁচ দিন ধরে দৈনিক শনাক্ত রোগী ১২ হাজারের উপরে ছিল। এর মধ্যে ১২ জুলাই ১৩ হাজার ৭৬৮ রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়। শুক্রবারও প্রায় ৪২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুক্রবারের আগে পাঁচ দিন দৈনিক ২ শতাধিক মৃত্যু হয়েছিল। এর মধ্যে গত ১১ জুলাই সর্বাধিক ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবার সংখ্যাটি দুইশর নিচে নামলেও গতকাল তা আবার বাড়ল। খবর বিডিনিউজের।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪১১ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৯। সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৮ হাজার ৮২০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ জন। গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা প্রায় ১৩ হাজার কমে যাওয়ার মধ্যে শনাক্তের হার বেড়ে আবার ২৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার তা ছিল ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ছিল ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। তাতে শনাক্তের হার বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়ার সঙ্গে সুস্থতার হারও বেড়েছে ৪১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬২৭টি ল্যাবে ২৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১টি নমুনা। অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে এ মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার। গত এক দিনে কেবল ঢাকা বিভাগেই ৪ হাজার ৪৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৫০ শতাংশের বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৮৫ জন। যে ২০৪ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ৮২ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। খুলনা বিভাগে ৪৯ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ২০৪ জনের মধ্যে ১ জনের বয়স ছিল ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। ১৫ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৩৫ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৫১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৫৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃত ২০৪ জনের মধ্যে ১২৫ জন পুরুষ এবং ৭৯ জন ছিলেন নারী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্থবিরতায় ডব্লিউটিসি, পণ্য পরিবহন শূন্যের কোটায়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি