মৃত্যু পথযাত্রী

হামিদা খাতুন পান্না | রবিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

আমি এখন ১২০নং ইউনিটে ভর্তি! ডাক্তার কত শত রোগীকে দেখছে আর রিলিজ দিচ্ছে। ছুটির আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে দিচ্ছে। আরও কতশত রোগীকে আস্থা দিচ্ছে ভালো হবার, সুস্থ হবার জন্য! কিন্তু আমি তো অবাক! আমার বেলায় কেন কিছু বলেন না ডাক্তার? কেন আমার বেলায় আশাহত! বাঁচবো না বলে কালিমার দাওয়াত ছিল পেসক্রিপশনে। শুধু আমার মৃত্যুর খবর আমি নামক মানুষটাই জানলাম! আর কেউ জানলো না আমার ফাইলে কী লেখা ছিল। আমার প্রেসক্রিপশনে শেষ কথা ছিল মৃত্যু পথযাত্রী! বিদায়ের ঘন্টা বুঝি এই বেজে উঠলো! হঠাৎ সবার আগমন হাসপাতালে, সবাই এস ভিড় জমালো। কী এমন হয়েছে!

কেন ডাক্তার এই নোটিশ দিল?

সরাসরি মৃত্যুর পরোয়ানা জারি:

এই বুঝি জিবরাঈল আলাইহিসসালাম রওনা দিল ১২০ নং ইউনিটে! এই দিকে ডাক্তার আত্মীয় স্বজনদের বোঝাতে আর পারলো না। কারণ : সবাই তো আর আমাকে ঘৃণা করে না, ভালোও তো বাসে কেউ কেউ, তাই অনেকের আহাজারি! কান্নাকাটি! এই আমি নামক মানুষটাই পড়ে রইলাম হাসপাতালের বেডে! নিথর দেহ, চোখ দুইটি বন্ধ, শ্বাসরুদ্ধকর, গায়ে সাদা কাপড়!

হয়তো নিঃশ্বাস বুঝি জিবরাইল আলাইহিসসালাম নিয়ে চলেই গেলো! এই বুঝি শেষ হয়ে গেলো সব কিছু! শেষ হয়ে গেলো জীবনের অধ্যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসত্য সততা ও মানবতা
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে