মৃত্যুর এক মাস পর পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি পেল সাভারের বক্সার ভুট্টি জাতের গরু ‘রানী’। গত সোমবার বিকালে ই-মেইলের মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ রানীর বেড়ে ওঠার ঠিকানা আশুলিয়ার শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজকে স্বীকৃতির বিষয়টি জানায়। তাদের ওয়েবসাইটেও বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
ওই খামারের মালিক আবু সুফিয়ান বলেন, রানী বেঁচে থাকলে আজকের এই দিনটিতে অনেক আনন্দ হত। রানী মারা যাওয়ার পর গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। তারা মূলত হরমোন জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে গরুটিকে বামন করা হয়েছিল কিনা সেটা নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। তবে এ ধরনের কোনো রিপোর্ট না পেয়ে রানীকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুর স্বীকৃতি দিয়ে সার্টিফিকেট পাঠিয়েছে।
খর্বাকৃতির গরু রানীর উচ্চতা ছিল ৫০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার (২০ ইঞ্চি)। দৈর্ঘ্য ৬০ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার (২৭ ইঞ্চি)। ওজন ছিল ২৬ কেজি। গরুটির বয়স ২ বছর পার হয়েছিল।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে রেকর্ড বইয়ে রানীর নাম তুলতে গত ২ জুলাই গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে শিকড় অ্যাগ্রো। এই আবেদনের ৪৩ দিন পর গত ১৯ আগস্ট অসুস্থ হয়ে মারা যায় রানী। তার রেকর্ডের স্বীকৃতিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, গত ৪ জুলাই ‘সবচেয়ে খর্বাকায় গরু’ হিসেবে বাংলাদের ঢাকায় ‘রানীকে’ যাচাই করা হয়েছে।












