স্ত্রীর মৃত্যুর আট মাস পর তার নামে অ্যামাজন থেকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট সূত্রে পার্সেল পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট সাসেক্সের বাসিন্দা ডেভিড হেন্ডারসন। ই-কমার্স জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিক্রিয়ায় হতাশ বলে জানিয়েছেন তিনি। হেন্ডারসন বলেছেন, অ্যামাজন তাকে জানিয়েছে যে অ্যানা হেন্ডারসনের নাম ও ঠিকানা দিয়ে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। তবে মূল অ্যাকাউন্ট থেকে ডেটা চুরি হয়নি বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
হেন্ডারসন জানিয়েছেন, অ্যামাজন ক্ষমা চাইলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিবিসি’র পক্ষ থেকে অ্যামাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে আলোচনা করতে হেন্ডারসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, সম্ভবত একটি ‘ব্রাশিং স্ক্যামের’ কারণেই এমনটা হয়েছে। বিক্রেতা যখন নিজেই নিজের পণ্য কিনতে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে এবং পণ্য সরবরাহের জন্য ইচ্ছামতো একটি ঠিকানা দিয়ে রাখে, তখনই এ ধরনের স্ক্যামের ঘটনা ঘটে। খবর বিডিনিউজের।
ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রিভিউ দিয়ে পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় বিক্রেতা। হেন্ডারসনের পার্সেলে সস্তা এক জোড়া ইয়ারবাড হেডফোন এক প্যাকেট বাল্ব ছিলো, উভয়ই একই ব্র্যান্ডের। আরেকটি পণ্য চিনতে পারেননি হেন্ডারসন। হেন্ডারসন বলেছেন, আমি কখনোই এগুলো অর্ডার করতাম না এবং আমি নিশ্চিত অ্যানাও কখনও করতো না। আমি অ্যানার নাম এবং ঠিকানা দেখে মর্মাহত হয়েছি এবং হুট করেই এটি পেয়েছি। আমি চাই অ্যামাজন এ বিষয়ে কী করছে তা আমাকে জানাবে। আমার বড় চিন্তার কারণ হলো, তারা বিষয়টি কার্পেটের নীচে চাপা দিয়ে রাখতে পারে। দিন শেষে তারা হাত ধুয়ে নিতে পারেন, কিন্তু অ্যামাজন প্রাইম প্যাকেজ আমার স্ত্রীর কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।
অ্যামাজন নিশ্চিত করেছে যে, গোপনতা নীতিনালার কারণে অ্যাকাউন্ট কে বানিয়েছে তা তারা হেন্ডারসনকে জানাতে পারেনি।