চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলে মনোনীত ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়। ছাত্রদলের সক্রিয় ও আলোচিত এই নেতা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা’ হিসেবে পরিচিত। ২০১৯ সালে তিনি ছাত্রলীগের হাতে নির্মম পাশবিকতার শিকার হন। মারধরের পর মারা গেছেন ভেবে তাকে ফেলে যায় তারা। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি সেরে উঠেন।
সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কৃতী সন্তান। রাজনৈতিক জীবনে তিনি প্রথমে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। দলীয় সহকর্মীদের কাছে তিনি সংগঠিত ও কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির অস্থির সময়ে হৃদয় নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ২০১৯ সালে পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলে দেয়। এছাড়া ২০২৩ সালে ক্যাম্পাস ভাঙচুরের একটি মামলায় তাকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। তবে হৃদয়ের দাবি, সে সময় তিনি ক্যাম্পাসেই ছিলেন না।
চাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে সহপাঠী ও সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে আসা সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় এখন ক্যাম্পাসের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী।