নগরীতে লঘুচাপের প্রভাবে বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে। আর নদীবন্দরের জন্য থাকছে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত। বাংলানিউজ
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের শঙ্কায় পাহাড়ের চূড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা লোকজনকে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করা লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিংয়ের পাশাপাশি তাদের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
এর মধ্যে কাট্টলি সার্কেলের অধীনে পাহাড়তলী, ফয়’স লেক, আকবর শাহ, কৈবল্যধাম, খুলশী, জালালাবাদ, চন্দ্রনগর এলাকায় ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
আগ্রাবাদ সার্কেলের অধীনে লালখান বাজার, পোড়া কলোনি এবং একে খান পাহাড় এলাকায় ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এছাড়া চান্দগাঁও সার্কেলের অধীনে আমিন জুট মিল সংলগ্ন পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড়, ট্যাংকির পাহাড় এলাকার জন্য রৌফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসাকে এবং বাকলিয়া সার্কেলের অধীনে মতিঝর্ণা, বাটালি হিল এলাকার জন্য ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম জাকারিয়া বলেন, ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের শঙ্কা থাকায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে আমরা পাহাড়ে পাহাড়ে মাইকিং করছি। স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা থেকেও নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে। লোকজন শহরে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাসায় চলে যাচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “যাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা থাকার মতো কোনো জায়গা নেই তাদের জন্য আমরা ১৫টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র চালু করেছি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা যে কেউ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন।”
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা সেখ ফরিদ আহমেদ জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাছন্ন থাকতে পারে। সেই সাথে অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো বাতাসের সাথে মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাতাস দক্ষিণ-পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১৫-২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে যা অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৪০-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।”