ভারতের কেরালায় মৃত এক নারীর কফিনের চারপাশে থাকা পরিবারের কয়েক ডজন সদস্যের হাসিমুখের ছবি অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকে সমালোচনা করলেও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, প্রিয়জনকে হাসিমুখে, আনন্দের সঙ্গে বিদায় জানানোর মুহূর্তকে ধরে রাখতেই ওই ছবি তুলেছেন তারা। খবর বিডিনিউজের।
জানা যায়, ছবিতে ৯৫ বছর বয়সে মারা যাওয়া মারিয়াম্মার কাচের কফিনের পাশে তার পরিবারের সদস্যদের হাসিমুখে পোজ দিতে দেখা গেছে। এই ছবিতে অন্যদের সঙ্গে মারিয়াম্মার ৯ সন্তান এবং ১৯ নাতি-নাতনিও রয়েছেন। এই পরিবারেরই এক সদস্য অনলাইনে ছবিটি প্রকাশ করেন। এরপরই শুরু হয় ঝড়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকেই ছবিটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্য যতই বৃদ্ধ হোন, তার মৃত্যুতে আত্মীয়রা হাসেন কী করে, এই প্রশ্নও করছেন কেউ কেউ। মারিয়াম্মার পরিবারের সদস্যরা অবশ্য এমন সমালোচনায় মোটেও বিচলিত নন। তাদের যুক্তি, মৃতের সঙ্গে হাসিমুখের ছবিতে আপত্তি কোথায়?
তাদের ভাষ্য, আমরা আমাদের প্রিয় মানুষটিকে হাসিমুখে শেষ বিদায় জানাতে চেয়েছি। মৃত্যুতে সবসময় কাঁদতেই হবে, এ কথা কে বলেছে? পরিবারটির এই অবস্থানে সায়ও আছে অনেকের, তাদের মধ্যে আছেন খোদ কেরালার শিক্ষামন্ত্রীও। তিনি বলেছেন, মৃত্যু অবশ্যই বেদনার। কিন্তু মৃত্যুর পর আসে প্রিয়জনকে শেষ বিদায় জানানোর পালা। যে মানুষটি সারা জীবন হাসিখুশি থাকতে চেয়েছেন, তাঁকে হাসিমুখে বিদায় জানানোর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?
পরিবারের সদস্যরা একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, যারা এই ছবির সমালোচনা করেছেন, তারা মৃত্যুর পর শুধু কাঁদতেই দেখেছেন। কিন্তু আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যকে হাসিমুখে বিদায় জানিয়েছি।