মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

চারুকলা

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১১ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

শহর থেকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার দাবিতে এবার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ইনস্টিটিউটের বাইরে বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২ নভেম্বর থেকে আবাসিক হল নিশ্চিতকরণ, নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং-ক্যান্টিনের সুব্যবস্থা ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি নিয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে

কয়েক দফা আলাপ হয় শিক্ষার্থীদের। প্রশাসন তাদের দাবির সাথে একমত হয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসতে বললেও শোনেনি শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার দাবি। এ সময়ের মধ্যে শ্রমিকরা সংস্কার কাজ করতে গেলে তাদের কাজে বাধা দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর কয়েক দফা মানববন্ধন করে তারা। গতকাল শহরে সড়ক আন্দোলনে নেমেছে তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কোনো কথা না বলে ইনস্টিটিউট ত্যাগ করেন শিক্ষকরা। দুই দিনের সময় নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে শিক্ষকরা বেরিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ দাশ। তিনি বলেন, আজকে প্রশাসন আমাদের চারুকলা বিভাগ স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তারা আমাদের তাদের পিঠ দেখিয়ে ইন্সটিটিউট থেকে চলে যায়। আমরা এখন আর শান্তিপূর্ণ আন্দলনে থাকবো না। আমাদের এইবারের আন্দলনে আরও জোরদার হবে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার দুপুরে চারুকলার শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত হলেও একমত হয়নি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রতিনিধি দল। পরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দুইদিনের সময় নেন শিক্ষকরা। সারাদিনব্যাপী শিক্ষকরা বৈঠকে থাকলেও কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত না দিয়েই চারুকলা ইন্সটিটিউট ছেড়ে যান তারা।
চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল শিক্ষার্থীরা সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এখন ২২ দফা থেকে সরে এসে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে আনার দাবি তুলছে। এখন হুট করে তো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। আমাদের সময় দিতে হবে। সিন্ডিকেটে আলোচনার বিষয় আছে। সময় না দিয়ে উল্টো তারা অযৌক্তিক আন্দোলন করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেট্রোল বোমার কথা জনগণ ভুলে যায়নি
পরবর্তী নিবন্ধমানি এক্সচেঞ্জে নগদ ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়