দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ রয়েছে। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো মূল্যস্ফীতির তোপের মুখে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে। কারণ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্যঘাটতি অনুভব করেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় এবার খাদ্য মূল্যস্ফীতি বহু বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি অনুভব করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি হবে সাড়ে ১৫ শতাংশ। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে সংস্থাটি। খবর বাংলানিউজের।
সংস্থাটি জানায়, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবিলায় কৃষিনীতি সামঞ্জস্য করেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে, কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, ভর্তুকি বাড়িয়েছে সারে এবং রফতানিকারকদের একটি নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।