রোজার মাস মানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাস। দ্রব্যমূল্যের আগুনে অসহায় ক্রেতারা ‘দগ্ধ’ হলেও দায়িত্বশীলদের কিছু যায়-আসে না। রোজা-নামাজের পাশাপাশি ‘ধর্মপরায়ণ’ বিক্রেতারা ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার প্রার্থনার সময় সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে মাফও চেয়ে নিচ্ছে। রোজার মাসকে মাত্রাতিরিক্ত আয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে অসাধু ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। ইফতার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি জিনিসের দাম দ্বিগুণের কাছাকাছি। শুধু রোজা নয়, সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে মুনাফাখোর কারবারিরা প্রকাশ্যে ‘ডাকাতি’তে লিপ্ত হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন মাঝেমধ্যে ভোক্তাদের স্বার্থে অভিযান চালালেও তা খুবএকটা ফলদায়ক নয়। সর্বক্ষেত্রেই আম জনতাই শুধু শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়। জনস্বার্থের নামে সমাজ ও রাষ্ট্রের একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি আরাম-আয়েসে জীবনযাপন করবে আর বাকিরা শুধু ত্যাগ স্বীকারই করে যাবে- এটিই যেন নিয়মে পরিণতে হয়েছে। কবে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে, তা বলাই কঠিন।