মুহাম্মদ জামান হেডমাস্টার : অবিনশ্বর আলোকবর্তিকা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শুক্রবার , ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

এটি সর্বজনবিদিত যে, মামাতৃত্বসন্তান ও পরিবার গঠনে সুনিবিড় সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে সমাজজাতিরাষ্ট্রের বিকাশবিস্তার পরিপূর্ণতা অর্জন করে। একইভাবে অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিত্বের পূর্ণ মানবিক মানসিকতা নির্মাণের ক্ষেত্রে অপূরনীয় প্রভাব সৃজনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, একজন শিক্ষিত ‘মা’ শিক্ষায় ঋদ্ধ একটি জাতির উন্মেষ ঘটাতে পারে। এটি বর্তমান বিশ্বের স্বাভাবিক ধারণা যে, শিক্ষা ব্যতিরেকে কোন ধরণের টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই বিশ্বে শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশে বেঁচে থাকার মৌলিক উপাদান হচ্ছে শিক্ষার উপর ভিত্তি করে আলোকোজ্জ্বল প্রজ্জ্বলিত সংস্কৃতির অবগাহন। জীবনের নানাবিধ বৈচিত্রতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে মানব সৃষ্ট সকল শ্রমসাধ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত কর্মকান্ডের সফল সমন্বয়ের অপর নাম সংস্কৃতি। এর বিশাল ও বহুমাত্রিক পরিসরে সামাজিক, রাজনৈতিক, নৈতিক, বিনোদন, জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তি, আইন ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল উদ্ভাবনীকে মানবের কল্যাণে নিবেদন করার প্রায়োগিক সমীকরণ হচ্ছে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য। শিক্ষা মানুষের শুধু মনুষ্যত্ববোধজাগ্রত করে না, অপার সম্ভাবনার স্বপ্ন নির্মাণেও সহায়তা করে।

আধুনিক জ্ঞান সভ্যতার কিংবদন্তি অবেক্ষক দর্শনশাস্ত্রের জনক মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের মতানুসারে মূল্যবান পোষাকপরিচ্ছদ বাইরের আবরণ মাত্র। মানুষের সত্যিকার সৌন্দর্য হচ্ছে হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত জ্ঞান। তিনি বলেছিলেন, ‘জ্ঞানই সর্বোত্তম গুন’, ‘জ্ঞানই শক্তি’। শিক্ষা ও জ্ঞানের নিগূঢ় বিভাজন গর্বিত উপলব্ধিতে আনা না হলে প্রত্যয় দু’টির ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রকৃত অর্থে জ্ঞান হলো শিক্ষার পরিশীলিতপরিমার্জিত অনুধাবন। যে শিক্ষা অন্যের কষ্টে বা অন্যহৃদয়ের রক্তক্ষরণ নিজের বিবেককে তাড়িত ও বোধকে বেদনাকাতর না করে, সে শিক্ষা কখনো জ্ঞানে রূপান্তরিত হয়না। সক্রেটিস মূলত: সত্যাশ্রয়ী জ্ঞানের প্রকৃত ধারক ছিলেন বলেই মিথ্যার কাছে আত্মসমর্পণ না করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা অধিকতর শ্রেয় মনে করেছেন। এই সত্যপ্রচার অপরাধেই তাঁকে হেমলক গাছের ভয়ানক বিষাক্ত রসবিষ পানে আত্মাহুতি দিতে হয়েছিল।

মহান জ্ঞানসাধক ডায়োজীনিস জ্ঞান অনুসন্ধানে জীবনে কখনো বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম করেননি। জ্ঞানের আরেক মহানসাধক এরিষ্টটল সম্পর্কে মহাবীর আলেকজান্ডার বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের জন্য হয়ত আমি আমার জন্মদাতা পিতার কাছে ঋণী। কিন্তু আমাকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সত্যিকার মানুষ করে গড়ে তুলেছেন আমার শিক্ষাগুরু এরিষ্টটল’। ভারতের জাতীয় ভাবধারার কালোত্তীর্ণ প্রাণপুরুষ রাজা রামমোহন রায় বাল্যকাল থেকে শিক্ষা অর্জনকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন এবং গবেষণালব্দ সন্ধুক্ষণের মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের প্রচলিত সাকার উপাসনা বা মূর্তিপূজাকে অস্বীকার করে বই রচনা করার জন্য পিতা কর্তৃক পরিবার পরিত্যক্ত হন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আদি জনক হিপোক্র্যাটিস এর অমর বাণী ছিল – ‘জীবন খুব সংক্ষিপ্ত, কিন্তু শিক্ষা দীর্ঘতর। সুদিন চলে যাচ্ছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বিপজ্জনক এবং বিচার বিবেচনা করাও খুব কঠিন কাজ। তবুও আমাদের তৈরি থাকতে হবে, সে শুধু আমাদের নিজের সুখের জন্য নয়। অপরের জন্যও।’ বিশ্বখ্যাত বরেণ্য জ্ঞানসাধকসহ প্রায় সকল মনীষীর জীবনপ্রবাহের পথ পরিক্রমায় শিক্ষাই ছিল অতীন্দ্রিয় পাথেয়। ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড’ এই প্রচলিত প্রবাদবাক্য শুধু বাচনিক প্রকরণে নয়, প্রয়োগিক বিবেচনায় সর্বকালেই সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ বাহন ছিল।

উন্নত বিশ্বে উন্নয়নের পিছনে প্রণিধানযোগ্য বিনিয়োগ হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, জ্ঞানসৃজনে সমৃদ্ধ গবেষণা, মেধাসম্পন্ন যোগ্যতর শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার যথার্থ নিরপেক্ষ মূল্যায়ন ব্যতীত গুনগত শিক্ষার বাস্তবায়ন সমধিক কল্পনাপ্রসূত। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিটি স্তর; প্রাথমিকমাধ্যমিকউচ্চমাধ্যমিকস্নাতকস্নাতকোত্তরসহ অধিকতর উচ্চশিক্ষায় প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের অনুশীলননির্ভর উৎকর্ষ ফলাফলই নির্ধারণ করতে পারে গুনগত শিক্ষার মানদন্ড। আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক তথ্যপ্রযুক্তিমননসৃজনশীল জ্ঞানের উন্মেষই ‘মানবপুঁজি’ বা সমৃদ্ধ মানবসম্পদ উৎপাদনে সুষ্ঠু ভূমিকা পালন করতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার নয়; পরিপূর্ণ যথার্থ ব্যবহারের মাধ্যমেই শিক্ষার প্রচার ও প্রসার আগামী দিনের বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যোগ্য সারথী করে তুলবে। অন্যথায় কুরুচিকুপ্রণোদনাকুমানুষিকতাকুকর্ম সম্পাদনে কুৎসিত মনোবিকারের বিকাশ ঘটাবে নি:সন্দেহে তা বলা যায়।

সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় প্রাচীন অনগ্রসর সমাজ থেকে আধুনিকপ্রাগ্রসর সমাজের উত্তরণকালে শিক্ষার আরাধ্য তাৎপর্যের অমিয় প্রতিপাদ্যের ধারক ও বাহক শিক্ষাবিদ, মানুষ গড়ার রূপকার, সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিক্ষক মুহাম্মদ জামান কাট্টলী তথা এতদ অঞ্চলে শিক্ষার আলোর প্রজ্বলন ঘটিয়ে চিরঞ্জীব হয়ে আছেন। মহান জ্ঞানতাপস এবং সমৃদ্ধ আলোকবর্তিকা নির্লোভনির্মোহ অঙ্গিকারে জীবনের সকল সুখস্বাচ্ছন্দের পেশাকে বিসর্জন দিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার ব্রত নিয়ে তিনি কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ঘরে ঘরে দিয়ে গরিবমেধাবী ছাত্র সংগ্রহ করে স্কুলে ভর্তি করানোর অনুপম দৃষ্টান্ত তাঁর মানবিক গুণাবলীর স্বরূপ উম্মোচিত হয়েছিল। তাঁর সততাযোগ্যতানিষ্ঠাআন্তরিকতা ও অপরিসীম দূরদর্শিতায় পরচিালিত এই বিদ্যালয় তৎকালীন সময়ে বেসরকারি কলেজিয়েট স্কুলের সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। কিংবদন্তী তুল্য এই শিক্ষক মুহাম্মদ জামান হেডমাস্টার হিসেবেই সকলের মাঝে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

পরম পূজনীয় শিক্ষক মুহাম্মদ জামান হেডমাস্টার চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলিতে ১৯০৭ সালের ১ মে বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম দরফ আলী ও মাতার নাম মরহুমা রহিমা খাতুন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯২৫ সালে ৫টি লেটারসহ কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কলেজ হতে বি.. এবং ডেভিট হেয়ার ট্রেনিং কলেজ থেকে বি.টি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলা, ইংরেজি, অংক ও আরবীতে তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দ্যুতি ছড়িয়ে ১৯৭৮ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি জাগতিক নিয়মের চিরন্তন বিধান সাদা প্রাবরণে অন্তিম যাত্রায় জীবনের সমাপ্তি টানেন।

আমাদের সকলের জানা, বর্তমান স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত খ্যাতনামা অঞ্চলের নাম উত্তর কাট্টলী। সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চলের গৌরবগাঁথা সর্বত্রই সমাদৃত। এই অঞ্চলের পশ্চিমে রয়েছে দেশের জলজ সম্পদের আধার এবং ব্যবসাবাণিজ্যের মূল অনুষঙ্গ আমদানিরপ্তানির প্রাণস্পন্দন গভীর বঙ্গোপসাগর। পূর্বে রয়েছে সবুজের গভীর আবরণে ঢাকা ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়চূড়ার আনাগোনা। আরও রয়েছে অনন্য সুন্দর ফয়েজলেক খ্যাত জলাধার ও বিনোদন কেন্দ্র। রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাণসঞ্চার এবং কর্মসংস্থানের জন্য স্থাপিত বিপুল সংখ্যক কলকারখানা।

এই কাট্টলী বরাবরই নেতৃত্ব দিয়েছে চট্টগ্রাম তথা পুরো বাংলাদেশকে। জাতীয় কবি নজরুল ও মহাকালের মহানায়ক স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ অনেক আলোকিত জনের পবিত্রতম পদধূলিতে ধন্য এই কাট্টলী। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে এই অঞ্চলের অপরিসীম অবদান। জাতির জনকের হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত অত্যন্ত আস্থাভাজন ও ঘনিষ্টজন মহান মুক্তিযুদ্ধে পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নেতা আলহাজ্ব জহুর আহম্মদ চৌধুরীর জন্ম এই অঞ্চলেই। এছাড়া রয়েছেন পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী আলহাজ্ব মাহমুদুন্নবী চৌধুরী। রয়েছেন অঞ্চলের দীর্ঘ সময়ের চেয়ারম্যান ও পূর্ব পাকিস্তানর প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব আলীমউল্লাহ চৌধুরী এবং কাট্টলীর প্রথম বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব জয়নুল আবেদিন চৌধুরী।

১৯৪১ সাল। বিশ্ব ইতিহাসে যেমন ১৭৫০, ১৭৭৬, ১৭৮৯ সাল নতুন মাত্রিকতায় এবং সাম্যমৈত্রীস্বাধীনতাশিল্পবিপ্লবের আলোকে বিশ্বপরিমন্ডলে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল, ১৯৪১ সাল ঠিক একইভাবে এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, কুপমন্ডুকতা, পশ্চাৎপদতা, জরাজীর্ণতা তথা সকল অন্ধকারের উৎসগুলোকে নিধন করে আলোর প্রজ্জ্বলন ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার নাম ‘কাট্টলী নূরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়’। দীর্ঘ কালপরিক্রমায় এটি শুধু কাট্টলী নয়, পুরো চট্টগ্রাম নগরী বা জেলাকে প্রদান করেছে এক সুমহান মর্যদা। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে আজ অব্দি শুধু দক্ষ, যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করে নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই উন্নত মানবসম্পদের পদচারনায় মুখরিত ও উজ্জ্বলতায় ভরিয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশজাতিরাষ্ট্রকে।

১৯৪১ সালে এই প্রক্রিয়ায় প্রয়াত নূরুল হক চৌধুরীর নামে এই বিদ্যালয় নতুন আঙ্গিকে তার যাত্রা শুরু করে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি নির্বাচিত হন প্রয়াত মৌলভি তমিজুর রহমান চৌধুরীসাহেব। আজ এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পিছনে যাদের প্রজ্ঞা, মেধা, সম্পদ, শ্রম, প্রশাসন ও পৃষ্টপোষকতা রয়েছে তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বিশেষ করে প্রয়াত নজীর আহমদ চৌধুরী, আলহাজ্ব ফয়েজ আলী চৌধুরী, এডভোকেট নূরুল হক চৌধুরী, মওলানা তমিজুর রহমান চৌধুরী, মৌলভি সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী, আতাউর রহমান চৌধুরী, আহমদ কবির চৌধুরী, মাহবুবুর রহীম চৌধুরী, ফসিউল আলম চৌধুরী, খোরশেদ আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব বদিউল আলম চৌধুরীসহ সকলের অবদানকে এই বিদ্যালয় চিরস্মরণীয় ও চিরঅম্লান করে রাখবে এটিই প্রত্যাশিত। এছাড়া শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত মুহাম্মদ জামান স্যারের প্রতি আমাদের ঋণ কখনো শোধ করার মত নয়। জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত এই বিদ্যালয়কে তিনি জ্ঞান সমৃদ্ধ করেছেন এবং বিপুল সংখ্যক আরাধ্য মানবসম্পদ সৃজন করে গেছেন। আজকের এই দিনে তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতাশিক্ষকমন্ডলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আত্নার শান্তি কামনা ও বেহেশতে তাঁদের উঁচু মর্যদায় আসীন করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি।

লেখক: শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআখেরাতের প্রস্তুতি
পরবর্তী নিবন্ধজুম্‌’আর খুতবা