‘মুহতামিম’ নিয়ে আবার উত্তপ্ত নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা

দু্‌ই পক্ষের হাতাহাতি, বোতল মারামারি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় দুই পক্ষের হাতাহাতিতে পণ্ড হয়েছে মুহতামিম পদ প্রত্যাশী মাওলানা সলিম উল্লাহর ডাকা সংবাদ সম্মেলন। এ সময় হাতাহাতির পাশাপাশি চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও বোতল মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই মাদ্রাসায় মুমতামিম নিয়োগ নিয়ে গত ৭ জুন থেকে পাল্টাপাল্টি আন্দোলন চলছে। এ নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিলে তখন থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল দুপুরে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মাওলানা সলিম উল্লাহ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন। জোহরের নামাজের পর সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল হক চৌধুরী, রুহুল আমিন সওদাগর ও ছাত্র ইছমাইল বক্তব্য রাখার সময় ‘নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর, শূরা চাই শূরা চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
মাওলানা সলিম উল্লাহ মাইকে বার বার ঘোষণা দিয়েও ছাত্রদের শান্ত করতে পারেননি। একসময় দুই পক্ষ চেয়ার ও বোতল ছোড়াছুড়ি করে। বাঁশ হাতে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে তাড়া করে। ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে।
এ সময় ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আকতার দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাওলানা সলিম উল্লাহ ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকদের উপরে অফিস কক্ষে পৌঁছে দেন।
তখন দুদিকে দুই পক্ষ অবস্থান নিয়ে এক পক্ষ ‘শূরা চাই, শূরা চাই’ এবং অপর পক্ষ ‘শূরা হবে না, শূরা হবে না’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
আন্দোলনকারী ছাত্ররা অভিযোগ করেন, আমরা লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। মাদ্রাসায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু বহিরাগত লোকজন এনে আমাদের নায়েবে মুহতামিম মাওলানা হাবিবুর রহমান কাশেমীর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছিলেন। তখন আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমাদের ওপর হামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক মাওলানা সলিম উল্লাহ জানান, হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মুহতামিম মাওলানা আহমদ শফীর উপস্থিতিতে শূরা সদস্যরা আমাকে মুহতামিম নিয়োগ করেন। এখন আবার বিভিন্ন মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর শূরা আহ্বানের খবর পাচ্ছি। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানাতে আজকের আয়োজন। কিন্তু সেখানে কিছু বহিরাগত এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাবুল আকতার বলেন, নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় দুপুরে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিয়েছে। তারা ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব বিষয় অবহিত করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রফেসর হওয়ার আগেই চলে গেলেন ক্যান্সার চিকিৎসক তাপস
পরবর্তী নিবন্ধশঙ্খচরে আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি