ওরে দেখ দেখ –মুসলিম দেখ– ফিলিস্তিনীরা কাঁদে
ওরা অসহায় অশ্রু ঝরায়– ঐ ইহুদি–বাদীর ফাঁদে —
বাপ–মা হারায়ে অসহায় শিশু কাঁদিতেছ দেখো আজ
ইসরায়েলী সেনা লেলিয়ে দিয়েছে কুচক্রী মহারাজ!
ছিলনা যাদের নিজের ঠিকানা ছিলনা বাসস্থান
যারা দিলো ঠাঁই– তাদেরই ঘরকে করেছে গোরস্থান !
পরজীবী ব্রততী যেমন করিয়া বিশাল বৃক্ষ নাশে—
ভীত মুসলিম! পরজীবী এই, ইহুদি জাতির ত্রাসে!
নিজের রাজ্যে নিরাপদ নয় ফিলিস্তিনীরা আজ
মরিছে মুসলিম তাকিয়ে রয়েছে বিশ্বের সুসমাজ!
হায় সভ্যতা! অসভ্য ববূর –কী করে সভ্য বলি?
বৃদ্ধ – যুবা শিশুদের বুকে কেমনে চালায় গুলি?
অত্যাচারী! অত্যাচারেরও নিয়ম বিধান আছে —
নিয়ম পাবে না ভদ্রবেশী স্বৈরাচারীর কাছে!
সভ্য বুলিতে ভুলাইবে মন– লইবে পরান কাঁড়ি –
তোমারও যে আছে নির্মম পতন মাননা স্বেচ্ছাচারী।
অতীতে ফেরাও তোমার দুচোখ – যাহারা অত্যাচারী
ইতিহাস দেখো! কখনো টিকেনি –জুলুম খবরদারি—
পরাজয় আছে –সত্যের কাছে –অসত্য মুছে যায়
তোমার জুলুম নির্মম আঘাত ফিরে পাবে তুমি তাই।
মুসলিম জাতি– বীরের জাতি– সত্যের নব দূত —
জান দিতে জানে– সত্যের পথে, ওরা বীর প্রদ্যোত
জাগো মুসলিম কাঁদিসনে আর – এবার অস্ত্র ধর
তরবারি চালা, চালা গুলি বোমা, চালা চুরি খঞ্জর।
অত্যাচারীর নিশান ভেদিয়া নিতে হবে তব জয়
বিশ্বের মাঝে পরিচয় দাও– তুমি মুসলিম– দুর্জয়
শোষণে শাসনে ভয়ে ভীত নয় এই মুসলিম জাতি
অসত্যের কাছে মাথা নত নয় বিশ্বে রয়েছে খ্যাতি
আবারও অস্ত্র হাতে তুলে নাও বীর সাজ নাও পড়ে
মমতা বিহীন আঘাত আনো অত্যাচারীর ঘাড়ে!
মুসলিম তুমি খোদার সৈনিক ভুলে গেছো মনে হয়
তকবির ধ্বনি তুলিয়া কন্ঠে ছি‘নে নাও তব জয়।