ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) মৃত্যুর ঘটনা লিখিতভাবে উচ্চ আদালতকে জানাতে হবে। গতকাল সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার অপর আসামি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরসহ মোশতাক আহমেদের জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’ তখন আদালত বলেন, ‘সেটি আপনি হলফনামা আকারে জানান। তখন তার জামিন আবেদন অ্যাবেট (বাদ) করা হবে।’ জবাবে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, কালকের মধ্যে হলফনামা আকারে জমা দিতে পারবেন।
এরপর আদালতে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। তার শুনানির পর আদালত এ বিষয়ে কাল বুধবার জবাব দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছেন। একইসঙ্গে ওইদিন আদেশের জন্য দিন রেখেছেন। খবর বাংলানিউজের।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মুশতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।