এলএনজি খালাসে ব্যবহৃত মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনালের একটি মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার তিতাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মির্জা মাহবুব হোসেন বলেন, গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ার পর কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের মৃদু স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। তবে কোথাও পরিস্থিতি ভোগান্তির পর্যায়ে নয়। খবর বিডিনিউজের।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এমন সমস্যার প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার গ্রাহকদের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে দুটি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) এর মধ্যে একটির মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় আমদানি করা এলএনজি স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি নাগাদ এ ত্রুটি মেরামত বা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
পেট্রোবাংলার গ্যাস সরবরাহের দৈনিক হিসাবে দেখা যায়, গত ৩০ নভেম্বর ২৯৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর সরবরাহ করা হয়েছিল ৩০২৫ মিলিয়ন ঘনফুট; ওই দিন ৬৪০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হলেও ৩০ নভেম্বর তা কমে গিয়ে ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমেছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) একজন কর্মকর্তা বলেন, মহেশখালী উপকূলে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটির একটি মুরিং লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়গুলো খুবই জটিল। এখন ক্ষতিগ্রস্ত লাইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে দুর্ঘটনার কারণ। ক্ষতিগ্রস্ত লাইনটি বাদ দিয়ে নতুন লাইন স্থাপন করার প্রয়োজনও হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।