ঘূর্ণিঝড় তকতের তাণ্ডবে মুম্বাই উপকূলে ডুবে যাওয়া বার্জের ৫১ আরোহীর খোঁজ এখনও মেলেনি বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। গত সোমবার ২৬১ আরোহী নিয়ে পি৩০৫ নামের বার্জটি ডুবে যায়। এর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ১৮৮ জনকে উদ্ধার ও ২২ জনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে।
ভারতে অয়েল অ্যান্ড নেচারাল গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) নিখোঁজ ৫১ কর্মীর পাশাপাশি ভারতীয় নৌবাহিনীকে এখন আরও কয়েকটি নৌযানে আটকা পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ডুবে যাওয়া বার্জ পি৩০৫ থেকে উদ্ধার করা ১৮৮ জনকে নিয়ে বুধবার সকালে ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস কোচির মুম্বাই বন্দরে প্রবেশের একটি ভিডিও টুইট করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়। খবর বিডিনিউজের।
উদ্ধার করা লোকজনকে নিয়ে আইএনএস কলকাতাও বুধবার মুম্বাই ফিরেছে বলে জানিয়েছে পিটিআই। বার্জের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আমি ভাবিনি যে বাঁচতে পারবো। কিন্তু বেঁচে থাকতে হবে এই তাগিদ থেকে আমি পানিতে ৭-৮ ঘণ্টা সাঁতরাই, পরে নৌবাহিনী আমাকে উদ্ধার করে, বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই বলেছেন পি৩০৫ এ থাকা ১৯ বছর বয়সী মনোজ গাইত।
ওএনজিসির সঙ্গে চুক্তিতে থাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম আফকনসের বার্জ পি৩০৫ এর পাশাপাশি গাল কনস্ট্রাকটর ও সাপোর্ট স্টেশন-৩ নামে আরও দুটি বার্জ মুম্বাই উপকূলের তেলক্ষেত্রে মোতায়েন করা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সমুদ্রে আটকা পড়া গাল কনস্ট্রাকটরের ১৩৭ আরোহীর সবাইকে মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের কোস্ট গার্ড।
মুম্বাই হাই ওয়েলফিল্ড তেলক্ষেত্রের উত্তরপশ্চিম দিকে ২০১ আরোহীসহ ভেসে যায় সাপোর্ট স্টেশন-৩। ওএনজিসির খননকারী জাহাজ সাগর ভূষণও উত্তর দিকে ভেসে গেছে, জাহাজটিতে আটকা পড়া ১০১ আরোহীকে উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে। গুজরাটের পিপাভাভ বন্দরের কাছে আটকা পড়া একটি সরবরাহ জাহাজের আরোহীদের উদ্ধারেও অভিযান চলছে। রণতরী আইএনএস তালওয়ার সেখানে আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।