মুমিনুলের রানে ফেরার দিনেও হতাশার গল্প

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল হক যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। অধিনায়কত্ব হারানোর পর একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন। তবে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে দলের জায়গা হলেও প্রথম টেস্টে একাদশে জায়গা হয়নি। ব্যাটে রান খরা এতটাই প্রকট ছিল যে, টানা ৯ ইনিংসে দশের নিচে আউট। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পর মোমিনুল হকের ব্যাট যেন রান কী জিনিস ভুলেই গিয়েছিল।

স্বভাবতই একাদশ থেকে জায়গা হারান সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। তবে মোমিনুলের বদলে যাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তারা কেউই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাই দুই টেস্ট পর দলে ফিরলেন মোমিনুল, প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোই হলো বলা যায়। ফেরার ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার সুযোগটা হারালেন মোমিনুল। দুর্ভাগ্যজনক এক আউটে থামলেন ব্যক্তিগত ৮৪ রানে। মুমিনুল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ইনিংসটা আর এগোয়নি। ব্যাটিংয়ে দলের সর্বনাশ হয়ে গেছে আগেই। শুধু হতাশার গল্প। মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৩.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের দল।

অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার জাকির হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে বাংলাদেশ দল ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়ে চলছিলো। কিন্তু ১৫তম ওভারে এসেই ছন্দপতন ঘটলো। কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া জয়দেব উনাদকাটের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে জাকির করেন ১৫ রান। পরের ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করা শান্ত ফিরেছেন ২৪ রান করে। এরপর ভালো কিছুর আশা দেখাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু উমেশ যাদবের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। ৩৯ বলে ১৬ রান করেন টাইগার দলপতি। সাকিব আউট হওয়ার পর মোমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। এই জুটিটা আশা জাগাচ্ছিল। কিন্তু বড় হলো না এই জুটিও। ৪৮ রানে ভাঙ্গে এ জুটি। ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েও খেই হারিয়ে ফেললেন মুশফিকুর রহিম। উনাদকাটের বলে উইকেটের পেছনে রিশাভ পান্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফিরেন ৩৯ বলে ১৬ রান করে। ১৩০ রানে বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট।

এরপর লিটন দাসকে নিয়ে ৪২ রানের একটি জুটি গড়েন মোমিনুল। লিটন ২৫ করে ফিরেন অশ্বিনের বলে। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানার চেষ্টা করেছেন মোমিনুল। কিন্তু অপর প্রান্তে কেবলই আসা যাওয়া করেছে বাকিরা। মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরেছেন ৫১ বলে ১৫ রান করে। আর নুরুল হাসান সোহান আরো একবার তার অযোগ্যতার প্রমাণ দিলেন। ফিরেছেন ৬ রান করে। তাকে কেন দলে নেওয়া হয় সেটা নির্বাচকরা ভালো বলতে পারবেন। বাংলাদেশ ৭ ওভারে হারিয়েছে শেষ ৫ উইকেট। ১৫৭ বলে ১২টি চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ রান করে ফিরেন মোমিনুল। ভারতের পক্ষে ২৫ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন উমেশ। ৭১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দিনের শেষ বেলায় ৮ ওভার ব্যাট করেছে ভারত। আর সে ৮ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৯ রান সংগ্রহ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদারবাড়িতে মালবোঝাই চলন্ত ট্রাকে আগুন
পরবর্তী নিবন্ধহাতে থাকা ইভিএমেই ৫০ আসনে ভোট গ্রহণ সম্ভব : সিইসি