সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার ঘটনায় দুদকের করা একটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির ও লালখান বাজারের আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মো. ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার
টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত ৯ জন সাক্ষীর মধ্য থেকে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মুফতি মো. ইজহারুল ইসলামকে এ সাজা দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মামলা দায়েরের পর মুফতি ইজহারুল পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলে ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক খুলশী থানায় মুফতি মো. ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। নোটিশ জারির ৭ কার্যদিবস পরও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৬ (২) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করেন দুদক চট্টগ্রাম-১ উপ-সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল আলম সরকার ও এইচ এম আকতারুজ্জামান। তারা পর্যায়ক্রমে তদন্ত কাজ শেষ করে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল মুফতি মো. ইজহারুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ মে চার্জগঠন করে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।












