১৯ দিনব্যাপী ৫৪তম আন্তর্জাতিক সীরতুন্নবী (সা.) মাহফিলের ১৭তম দিবসের অনুষ্ঠান গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম। চুনতি হাকিমিয়া কামিল অনার্স মাস্টার্স মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসাইন ও সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুল হক নিজামীর যৌথ সঞ্চালনায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন চুনতী হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ শাহে আলম, আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা খালেদ জমিল, কুতুবদিয়া খলিলুর রহমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ আইয়ুব খান, খতিব মাওলানা মহিউদ্দিন মাহবুব।
বক্তারা বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন ইসলামের দৃষ্টিতে কে মুফতি হতে পারবেন? মুফতির জন্য মৌলিক কী কী বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করলে সেই মানুষকে শরিয়তের বিধিবিধানের ব্যাপারে নির্দেশনা ও ফতোয়া দিতে সক্ষম হবেন? মুফতি হচ্ছেন ওই ব্যক্তি, যে বাস্তব ঘটনা উপলব্ধি করতে এবং দলিলসহ তার শরয়ী বিধান বর্ণনা করতে সক্ষম হবেন। শরিয়তের অসংখ্য বিধান তার মুখস্থ থাকতে হবে। ইসলামে মুফতির গুরুত্ব অপরিসীম। মুফতি সাহেব রাসুল (সা.) এর ইলমের (জ্ঞান) উত্তরসূরি। আল্লাহর পক্ষ থেকে নিযুক্ত প্রতিনিধি। তিনি আল্লাহর বিধিবিধানের ব্যাখ্যা দেন এবং সেটিকে মানুষের অবস্থা ও কাজের জন্য উপযোগী করে তোলেন। মনে রাখতে হবে, ফাসেক পাপাচারীর ফতোয়া প্রদান বৈধ হবে না, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহফিল মোতওয়াল্লী কমিটির সভাপতি মাওলানা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আযাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাত, আবু তাহের, এইচ এম মাহাবুবুল হক, শাহ মজিদিয়া আজমগড়ী ইসলামী কাফেলা বাঁশখালী শাখার সভাপতি মাওলানা মীর আহমদ আনছারী, দৌহিত্র তৈয়বুল হক বেদার, মাওলানা জমিল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ তারেক প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।