‘ভবিষ্যৎ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়াই হচ্ছে মানুষের কাজ। এই কাজটিই নিখুঁতভাবে করেন মুদ্রণশিল্পের নান্দনিক মানুষরা।’ গতকাল নগরীর এক রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম মুদ্রণ শিল্প সমিতির ৩য় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দ্বি–বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাজারে উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির সময়ে মুদ্রণসংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখবার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল উদ্যোক্তাকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি শিক্ষার কারণে। শিক্ষার প্রধান উপকরণ বই। বই উপহার দেবেন। তিনি আরো বলেন, মুদ্রণ হচ্ছে গৌরবের। আমাদের গৌরব আছে ভাষা আন্দোলনের সময় কোহিনূর প্রেস থেকে একুশের প্রথম কবিতা ছাপা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সদ্য বিদায়ী আহবায়ক আব্দুল জব্বার ও সদস্য সচিব এস এ মজুমদার সোহেল। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নবাগত সভাপতি মোঃ আবদুল করিম (২০২৫–২৭)। আরও বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি দীপক দত্ত। সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: ফোরকান উদ্দিনের সঞ্চালনায় সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত নতুন কমিটির পরিচিতি, অনুমোদন ও দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
এর পূর্বে বিগত বছরের হিসাব বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ সম্পাদক সুব্রত বিকাশ চৌধুরী। সদস্যদের মধ্যে অনেকে সংগঠন ও বিগত বছরের কার্যক্রমের উপর উন্মুক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় সভাপতি আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক এস এ মজুমদার সোহেল, দীপক কুমার দত্ত, আব্দুল জব্বার, আমজাদ হোসেন, মাহমুদুল হাসান সাদী, মো. জামাল উদ্দিন, সমীর চন্দ্র দেবনাথ, কোষাধ্যক্ষ সুব্রত বিকাশ চৌধুরী, আজম আলী, রঘু নাথ পাল, হাকিম সরদার, মো. জিল্লুর রহমান, মো. সাখাওয়াত হোসেন, মো. ফোরকান উদ্দিন, মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম, উত্তম কুমার মজুমদার, কবির আহমেদ, সৈয়দ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মো. ফোরকান উদ্দিন, মো. ইলিয়াস ঊদ্দিন, মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে ২০২৫–২০২৭ সালের চট্টগ্রাম মুদ্রণ শিল্প সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।