জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাবের উদ্যোগে ‘মুজিব শতবর্ষ শ্যূটিং প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পেশাদার শ্যূটার, পুলিশ কর্মকর্তা-সাংবাদিকসহ সাতটি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশ লাইনের শ্যূটিং ক্লাবে এ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিএমপি কমিশনার বলেন, শ্যূটিং প্রতিযোগিতা, কাবাডি, আন্তঃস্কুল বিতর্কসহ নানা আয়োজনে আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সাজিয়েছি। মাদক এবং ফেসবুক নির্ভরতা থেকে কিশোর-তরুণদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শ্যূটিংকে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা সেখানে যাব এবং ট্যালেন্ট আহ্বান করব। আমাদের এখানে দক্ষ কোচ আছেন। তিনি দেখবেন যে, যারা আগ্রহী তাদের মধ্যে শ্যূটিংয়ের দক্ষতা আছে কি না। মাদক, ফেসবুক এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বের করে আগামী প্রজন্মকে আমরা মাঠে নামাতে চাই। তাদের প্রতিযোগিতামূলক সৃষ্টিশীল কর্মের মধ্য দিয়ে, আনন্দের মধ্য দিয়ে আমরা বড় করতে চাই। এটা আমাদের স্বপ্ন। মেট্রোপলিটন ক্রীড়া সংস্থা, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে শিশু-কিশোর-তরুণদের মধ্যে সৃষ্টিশীল কাজের আগ্রহ জাগানোর চেষ্টা করছি। আমরা স্কুলে-স্কুলে বই বিতরণ করছি। স্কুলে-স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। বইয়ের আবেদন যেন কখনো না ফুরায়, আগামী প্রজন্ম যেন বইবিমুখ না হয়, সেই চেষ্টা আমরা করছি। শ্যূটিংকে চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে খেলাধুলার মাঠের কিছুটা ঘাটতি আছে। আমরা চেষ্টা করছি, এই ক্লাবটি যেন শ্যূটিং নিয়ে প্রাণবন্ত থাকে। আমরা এখানে আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করব। আশা করি, আমাদের শ্যূটাররা অবশ্যই ভালো কিছু করবেন। মেট্রোপলিটন শ্যূটিং ক্লাবের এই প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা দিয়েছে সাউথ ইস্ট ব্যাংক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল হোসেন। তিনি ব্যাংকের পক্ষ থেকে সিএমপি কমিশনারের হাতে পাঁচ লাখ টাকার অনুদানের চেক দেন। অনুষ্ঠানে সিএমপির পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী শরমিন জাহান, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কান্তি নাথ, শামসুল আলম ও সানা শামীনুর রহমান এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর ছিলেন।